সিলেটের বিয়ানীবাজারে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে অন্তত আরো ৫ জন।
নিহতরা হলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার কসবা গ্রামের সুবল মিয়ার ছেলে মাংস বিক্রেতা নিজু আহমদ (১৭) ও মোল্লাপুর গ্রামের অটোরিকশা শ্রমিক আবুল কালাম (৪০)।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা সদরের দক্ষিণ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ হলেন- উপজেলা ট্রাক শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুয়াইবুল রহমান (৪০), শ্রমিক নেতা বিমল চন্দ্র (৩২), রিপন (২৯), তারেক (২৪), নূরুল হক (৫০) ও ফয়ছাল আহমদ।
সূত্র জানায়, সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেনের অনুসারী নেতাকর্মীদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সম্প্রতি বিয়ানীজার উপজেলা সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সভাপতি শামীম আহমদ মারা যান। শামীম মারা যাওয়ার পর থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন ওই স্ট্যান্ডের দখলের পায়তারা শুরু করেন। কিন্তু সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না। এনিয়ে শুক্রবার রাতে বিয়ানীবাজার ট্রাক শ্রমিক ও সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক নেতারা তাদের কার্যালয়ে বৈঠক করছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা জামাল হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অটোরিকশা কার্যালয়ে আসলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গুলিছুঁড়তে থাকে। এতে নিজু ও কালামসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। নিজু ও আবুল কালামকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি জুবের আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘ভাই এখন কথা বলতে পারব না। আমি একটি অপারেশনে আছি।’ এর তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।