Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সেমিতে বাংলাদেশ

Bangabandhu_gold-cup

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমি ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করে মামুনুলরা।

chardike-ad

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচে ড্র করলেই সেমি নিশ্চিত হতো তাদের।

এ ম্যাচে গোছালো ও পরিকল্পিত ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ৪১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে একমাত্র গোলটি করেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। দ্বিতীয়ার্ধে শ্রীলঙ্কার একটি পেনাল্টি বাংলাদেশ গোলরক্ষক সহিদুল ইসলাম সোহেল ঠেকিয়ে দেয়। পরে একমাত্র গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

ম্যাচের ১১ মিনিটেই আক্রমণে আসে বাংলাদেশ। মধ্যমাঠ থেকে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল বল বানিয়ে দেন জাহিদকে। কিন্তু তার নেওয়া শটটি প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়।

২১ মিনিটে জাহিদের ক্রসে বলের লাইনে থাকা এমিলি ও সোহেল-দুজনের কেউই দরকারি টোকাটা দিতে পারেননি।

৩২ মিনিটে আবার আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। এবার বেশ জোরেশোরেই আক্রমণ করে বাংলাদেশি খেলোয়াড়রা। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো থেকে বক্সের জটলার মধ্যে শট নেন সোহেল। কিন্তু বল প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৪১ মিনিটে মধ্য মাঠ থেকে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল পেয়ে যান বাংলাদেশের সোহেল। তিনি লম্বা ক্রস দেন এমিলিকে। সেই বল এমিলি বুক দিয়ে নামিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেন হেমন্তকে । তিনি বক্সের বাইরে থেকে গতিময় শটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকে পরাস্ত করে বল পাঠিয়ে দেন জালে। এতে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটের মাথায় জাহিদের বাড়ানো বলে হেমন্তের নেয়া দুর্বল শট শ্রীলঙ্কা গোলরক্ষক আটকে দিলে দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের পাওয়া প্রথম সুযোগটি নষ্ট হয়।

এরপরে পাল্টা আক্রমণে আসে শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার আক্রমণ রুখে দেন গোল পোস্টের নিচে দাঁড়ানো সহিদুল ইসলাম সোহেল।

২ মিনিটের মধ্যে দারুণ দুটি আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। জামাল ভূইয়ার পাস থেকে পাওয়া বলে জাহিদ শট নিলেও তা লক্ষ্যে থাকেনি। ৬০ মিনিটে সোহেলের বাড়ানো বলকে গোলে রূপ দিতে ব্যর্থ হন এমিলি।

৬৬ মিনিটে একটু ভুল করে বসেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহেল। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে আসা শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় এইচ কে ইশানকে ফেলে দেন সোহেল। এতে পেনাল্টি পায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এ এন রোশানের পেনাল্টি রুখে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহেল।

৭৬ মিনিটে বাংলাদেশ কোচ ডি ক্রইফ মাঠ থেকে তুলে নেন জাহিদ হাসান এমিলিকে। তার বদলি হিসেবে নামেন মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজুকে।

এরপরে বাংলাদেশের খেলা একটু মন্থর হয়ে যায়। তবে ৮৫ মিনিটে আবার ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিন্তু হেমন্তের আরেকটি শটও ফিরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ।