Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

korean-army দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে ক্রমেই মানসিক ভারসাম্যহীন সদস্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে গত বছরে প্রায় ১ হাজার ৭ শত ৯ জন কর্মরত সেনাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। যা কিনা দেশটির সর্বোচ্চ সামরিক বাহিনীটির জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

এই জাতীয় রোগীদেরকে সনাক্ত করার জন্য ২০১০ সাল হতে একটি সুশৃঙ্খল জরিপের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। যার মাধ্যমে ঐ বছরেই ৫ শত ৮০ জন মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে সামরিক বাহিনী হতে বের করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, রাষ্ট্রপতি ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাকারী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিও এই রোগে আক্রান্ত একজন মিলিটারি সদস্য। ক্যাং নামের ঐ ব্যক্তি সেনাবাহিনীতে যোগদানের ছয় মাস পূর্বে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, তার এই অসুস্থতা কর্মে যোগদানের জন্য খুব একটা প্রভাব পড়বেনা। পরবর্তীতে যা ভুল প্রমাণিত হয়।

chardike-ad

সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন “মূলত নতুন আসা সেনা সদস্যদের তখনই অব্যহতি দেওয়া হয়, যখন তারা কমপক্ষে একবছর মানসিক রোগের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। আর কর্তব্যে থাকা সেনারা যদি ব্যারাকের জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে বেশী কষ্টের সম্মুখীন হয়, সেক্ষেত্রে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়”। আর সামরিক জনশক্তি প্রশাসনের দাবি, এই ধরণের রোগী সনাক্তকরণে নিয়োজিত থাকা মনোরোগ চিকিৎসকরা অত্যন্ত মেধাবী ও অভিজ্ঞ, যাদের সবাই দশ বছরের বেশী অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।

এই রকমের বিপত্তি থেকে উত্তরণের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই কাজ করা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এই বছরের জানুয়ারি মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। যোগদান পূর্বক চিকিৎসার সময়কাল এক বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস করা হয়েছে। এরপরেও সামরিক বাহিনীটি মনে করে, আশু সমস্যার সমাধানে এই সিদ্ধান্ত পর্যাপ্ত নয়। বরং এই নিয়মের ভুল প্রয়োগ করে অনেকেই মানসিক রোগী সেজে সুযোগের অপব্যবহার করতে পারে। l