Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সেরা পাঁচ ট্রান্সফার

Free-Barclays-Premier-League-Live-TVইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীতকালীন ট্রান্সফার মৌসুমের পর্দা নেমেছে গত সোমবার। ৩ জানুয়ারি বাজার চালু হওয়ার পর ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা ছিল এ ট্রান্সফার বাজার। এ সময়ের ভেতর ঘর গোছানোর কাজ সারতে হয়েছে ক্লাবগুলোকে। উইলফ্রেড বনি, আন্দ্রে শুরেল, হুয়ান কুয়াদ্রাদোও ঠিকানা পাল্টেছেন। মধ্যবর্তী এ দলবদলের বাজার থেকে সেরা পাঁচ ট্রান্সফার তুলে ধরা হলো বণিক বার্তার পাঠকদের জন্য—

 

chardike-ad

উইলফ্রেড বনি (সোয়ানসো থেকে ম্যানসিটি, ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড)

আইভরিকোস্ট স্ট্রাইকারই জানুয়ারিতে সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার। সোয়ানসি থেকে তাকে কিনে নেয় ম্যানসিটি। শীতকালীন বাজারে তার ট্রান্সফারই সর্বোচ্চ পরিমাণ খরচের রেকর্ড। ২৫ মিলিয়ন পাউন্ড। ২০ গোল করে গত বছর প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন উইলফ্রেড বনি। এখন থেকে আক্রমণভাগে তার সঙ্গী সের্জিও আগুয়েরো, এডিন জেকোরা। বনি সম্পর্কে ম্যানসিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির উক্তি, ‘তাকে মার্কিং করা খুব কঠিন। কারণ শারীরিকভাবে বনি অনেক শক্তিশালী ফুটবলার। এখন আমাদের স্কোয়াডে একই সঙ্গে চারজন বিশ্বমানের স্ট্রাইকার রয়েছেন। আমি তাদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’

আন্দ্রে শুরলে (চেলসি থেকে ভল্ফসবুর্গ, ২৪ মিলিয়ন পাউন্ড)

চেলসিতে সময়টা ভালো কাটছিল না শুরলের। হোসে মরিনহোর আস্থা ছিল তার ওপর। কিন্তু একই পজিশনে অনেক তারকা থাকায় নিয়মিত প্রথম একাদশের হয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না ২৪ বছর বয়সী এ জার্মান মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের হয়ে ৪২ ম্যাচে ১৭ গোল করা শুরলেকে কিনতে ক্লাব ইতিহাসে ট্রান্সফারের রেকর্ডটা নতুন করে লেখায় ভল্ফসবুর্গ। বায়ার্নকে ৪-১ গোলে হারানোর পরদিন ভল্ফসবুর্গ ড্রেসিংরুমে পা রাখেন শুরলে। এর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় ক্লাবটি, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শুরলে এখন ভল্ফসবুর্গের খেলোয়াড়।’

হুয়ান কুয়াদ্রাদো (ফিওরেন্তিনা থেকে চেলসি, ২৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড)

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবার শিরোপার দাবিদার চেলসি। আক্রমণভাগে একাধিক তারকা থাকা সত্ত্বেও ফিওরেন্তিনার হুয়ান কুয়াদ্রাদোর প্রতি হাত বাড়ায় তারা। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারির ট্রান্সফারে কলম্বিয়ান এ স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয় চেলসি। ২০১৪ বিশ্বকাপে তার খেলায় মুগ্ধ হন চেলসি কোচ হোসে মরিনহো। কুয়াদ্রাদো নিজেও মরিনহোর সান্নিধ্যে আসতে পেরে খুশি, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্য রকম। আমি সে সুযোগটাই পেতে যাচ্ছি।’ আক্রমণভাগে খেলার পাশাপাশি উইং, উইং-ব্যাক পজিশনে খেলতেও সিদ্ধহস্ত হুয়ান কুয়াদ্রাদো।

গ্যাব্রিয়েল (ভিলারিয়াল থেকে আর্সেনাল, ১১ মিলিয়ন পাউন্ড)

থমাস ভার্মেলন বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর একজন সেন্টারব্যাকের খোঁজ করছিল আর্সেনাল। ভিলারিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলকে দলে ভিড়িয়ে ভার্মেলনের শুন্যতা পূরণ করে গানাররা। তার আগমনে লরেন্ত কোসিয়েনলি এবং পিটার মার্তেসাকারের ওপর থেকে চাপ কমল। তবে গ্যাব্রিয়েলকে আগে মানিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওয়েঙ্গার, ‘রক্ষণভাগে মানিয়ে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সতীর্থের সঙ্গে ভাষাগত সমস্যা থাকলে গোল খাওয়া কোনো ব্যাপারই নয়’!

আন্দ্রে ক্রামারিচ (রিয়েকা থেকে লিচেস্টার সিটি, ৯ মিলিয়ন পাউন্ড)

চলতি মৌসুমে গোলখরায় ভুগছিল লিচেস্টার। ২৩ বার প্রতিপক্ষের মাঠে নেমে মাত্র ১১টি গোল করে তারা। এ কারণে একজন স্ট্রাইকারের খোঁজ করছিল লিচেস্টার। ক্রোয়াট ক্লাব রিয়েকা থেকে ক্রামারিচকে কেনে তারা। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে এ পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেললেও কোনো গোল করতে পারেননি ক্রামারিচ। এএফপি, বিবিসি