Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আবারও আয়ারল্যান্ড চমক, এবার হারল ওয়েস্টইন্ডিজ

world-cupচমকে দেওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয় আয়ারল্যান্ড। সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা।

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে ৪ উইকেটে। নিউজিল্যান্ডের সেক্সটন ওভালে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০৪ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

chardike-ad

জবাবে আয়ারল্যান্ড ২৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয় নিশ্চিত করে।

এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের প্রথম জয়। এর আগে দুই দল পাঁচটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার জয়ের বিপরীতে আয়ারল্যান্ডের জয় ছিল শূন্য। একটি ম্যাচের ফলাফল আসেনি।

এর আগে ২০০৭ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে চমক দেখায় আয়ারল্যান্ড। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ড্র করার পর পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেয় আইরিশরা। এরপর সুপার এইটে বাংলাদেশকেও হারায় তারা।

নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে অর্থ্যাৎ ২০১১ সালে ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারায় তারা। জয় পায় নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও।

৩০৫ রানের পাহাড়সমান রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান যোগ করেন পোর্টারফিল্ড ও পল স্টারলিং। ১৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন ক্রিস গেইল।

গেইলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রামদিনের তালুবন্দি হন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড। ৪৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।

দ্বিতীয় উইকেটে রানের চাকা সচল রাখেন পল স্টারলিং ও এড জয়েস। ১০৬ রানের জুটি গড়েন মাত্র ১৪.২ ওভারে।

২৮তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মারলন স্যামুয়েলস। সেঞ্চুরির পথে এগুতে থাকা স্টারলিং স্যামুয়েলসের বলে উইকেটের পিছনে তালুবন্দি হন। ৮৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান করেন ডানহাতি এই ওপেনার।

স্টারলিংয়ের বিদায়ের পর ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর চেসে বসেন এড জয়েস ও নেইল ও’ব্রায়েন। ৬৯ বলে ৯৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

পাওয়ার প্লে’তে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় জয়েসকে। ৬৭ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেন জয়েস।

তবে জয়েস ফিরে যাওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্রুত দুই উইকেট তুলে নেয়। সাজঘরে ফিরেন ব্যালব্রিন (৯), উইলসন (১) ও কেভিন ও’ব্রায়েন (০)।

দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আয়ারল্যান্ডের জয় পেতে সমস্যা হয়নি। নেইল ও’ব্রায়েন ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মুনি।

বাহাতি নেইল ও’ব্রায়েন ৬০ বলে ১১টি বাউন্ডারিতে ৭৯ রানের ইনিংসটি সাজান।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেঞ্চুরির দেখা পান লেন্ডল সিমন্স। তিনি ৮৪ বলে ৫ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে ১০২ রান করেন।

এ ছাড়া ড্যারেন স্যামি করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৯ রান। ৬৭ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের ইনিংসটি সাজান স্যামি।

তবে ইনিংসের শুরুটা ভালো ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৮৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা। একে একে সাজঘরে ফেরেন ডোয়াইন স্মিথ (১৮), ড্যারেন ব্রাভো (০), ক্রিস গেইল (৩৬), স্যামুয়েলস (২১) ও রামদিন (১)।

ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন সিমন্স ও স্যামি। এই দুই ব্যাটসম্যান ১২৭ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন। এ সময় দুই ব্যাটসম্যানই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান।

দলীয় ২৪১ রানে স্যামি ৮৯ রানে ফিরে যাওয়ার পর সিমন্স সেঞ্চুরি তুলে নেন। একই সঙ্গে সপ্তম উইকেটে আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে ৩১ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন।

শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে থামেন সিমন্স। সোরেনসেনের বলে ডকরেলের হাতে তালুবন্দি হন ১০২ রান করা সিমন্স। ১৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আন্দ্রে রাসেল।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে ডকরেল ৫০ বলে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মুনি, সোরেনসেন ও কেভিন ও’ব্রায়েন।