খালি চোখে বৃষ্টিস্নাত মাঠ, গ্যালারি দেখেই গ্যাবা দর্শন পর্ব শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। যদিও ব্যাটে-বলে গ্যাবার গতিময় উইকেট পরখের তাড়না অনেক ছিল মাশরাফি বিন মতুর্জাদের মনে।
কিন্তু প্রকৃতি বিরুপ হয়ে দাঁড়ালে কিছুই করার থাকে না। শেষ পর্যন্ত অনুমিত পরিণতির দিকেই গড়িয়েছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ।শনিবার বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে ম্যাচটি।গ্যাবায় ম্যাচ খেলার সুযোগ ফসকে গেলেও বাংলাদেশ এক পয়েন্ট পেয়েছে।যা কোয়ার্টার ফাইনালের টার্গেট পূরণে সাহায্য করবে টাইগারদের্। মাশরাফি এখন ফোকাস করতে চান শ্রীলঙ্কার দিকে। যাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মেলবোর্নে লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
গ্যাবায় খেলতে না পারার আক্ষেপই ঝরে পড়ল মামরাফির কন্ঠে ম্যাচ বাতিল ঘোষনার পর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গ্যাবায় আমরা খেলতে পারলাম না। এটা নিঃসন্দেহে বড় ধরনের হতাশার বিষয়। সুন্দর এই মাঠটিতে খেলার জন্য সত্যিই আমরা মুখিয়ে ছিলাম। এই অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপ আসরে বাকি ম্যাচগুলোতে আমাদের কাজে লাগত। কিন্তু যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। তবে আমি মনে করি, বিশ্বকাপের মঞ্চে পয়েন্ট পাওয়া নিঃসন্দেহে উদ্দীপনাদায়ক বিষয়। দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাবে রয়েছে। আমরা যে কোনো কন্ডিশনে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রস্তুত। বর্তমান মনোভাব ধরে রাখতে পারলে এই আসরে ভালো করতে পারব আমরা।”
স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে না খেলেই পয়েন্ট প্রাপ্তি। কিছুটা স্বস্তিদায়ক কিনা প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, “অবশ্যই আমরা স্বস্তি অনুভব করছি পয়েন্ট পেয়ে। ম্যাচটি মাঠে গড়ালে ফল কি হতো তা আমরা কেউ বলতে পারি না। তবে আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। আমরা ভালো খেলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম এবং ম্যাচটি হলেআমাদের জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হতো। অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কাজে লাগেতো, আমাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যেত। এই দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে ম্যাচটি না হওয়ায় আমরা হতাশ। তবে পয়েন্ট পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তাই নিয়েই খুশি হওয়া উচিত।”
ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো দল থাকার পরও বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান এখন তৃতীয়। পকেটে তিন পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্টও তিন। এখন কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পথ আরেকটু প্রশস্ত হয়েছে টাইগারদের। এখন স্কটল্যান্ডের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা বা ইংল্যান্ডের মধ্যে একটি দলকে হারালেই শেষ আটে যাবে বাংলাদেশ।মাশরাফিও সেদিকেই ফোকাস করছেন। তিনি বলেন, “আমাদের এখনো দুটি ম্যাচ জিততে হবে। তবে সবার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের পরবর্তী ম্যাচটিতেই ফোকাস করছি আমরা। গ্রুপে বাকি ৪টি ম্যাচ খেলার জন্য আমাদের হাতে আরও কিছু সময় থাকছে। তাই সামনে যে ম্যাচটি আসছে সেটি নিয়েই ভাবা উচিত। শেষ অবধি গ্রুপের ফল কেমন হবে তা সম্পর্কে আগাম বলা কঠিনই।”
স্কটল্যান্ড তো আছেই। সঙ্গে আপাতত শ্রীলঙ্কাকে হারানোর টার্গেটই করছে বাংলাদেশ। ৩৭ সাক্ষাতে ৪বার লঙ্কানদের হারিয়েছে টাইগাররা। নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপক্ষকে হারানোর টার্গেট নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে আসি নি। যদি আমরা দলীয় পরিকল্পনায় অটুট থাকতে পারি এবং মাঠে তা কার্যকর করতে পারি, ওয়ানডে ক্রিকেটে তাহলে আমরা সবকিছুই করার ক্ষমতা রাখি। ভালো খেললে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিততে পারি আমরা। তবে মাঠে আমরা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে খেলব, সবার আগে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরী।”