গণমাধ্যমের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেছেন, “সরকারি বাহিনীর গুলিতে কত মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে, কত মায়ের বুক খালি হয়েছে সেটাও একটু দেখান। তা না হলে আমরা কী করে বুঝবো গণমাধ্যম নিরপেক্ষ।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতা বন্ধ, দ্রুত সংলাপ এবং নিরপপেক্ষ নির্ববাচনের দাবিতে’ শীর্ষক এক পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
সরকারের উদ্দেশে গাজী বলেন, “দয়া করে মাথা ঠাণ্ডা করুন। কোন অপরাধে খালেদাকে গ্রেফতার করবে? তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করছেন, দেশের মানুষের স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য কাজ করছেন।”
গণমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাহলে একুশে টেলিভিশনের সালাম, এনটিভির মোসাদ্দেক আলী, আমার দেশের মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার কেন? চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত ও ইসলামী টেলিভিশন বন্ধ কেন? সাগর রুনী হত্যাকারীদের এখনও গেফতার করা হচ্ছে না কেন?”
আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের অফিসে তালা দেয়া উল্লেখ করে বলেন, “অন্য দলের কারও অফিস করার সুযোগ নাই, বাসায় পর্যন্ত থাকতে পারছে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বাসায়ও থাকতে পারছে না তারা। সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করার পর সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।”
আশঙ্কা প্রকাশ করেন পেশাজীবী এই নেতা বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে দেশ কোথায় যাবে?”
তিনি বলেন, “আইন শৃঙ্খলা বাহীনির মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেছে তারাই এ দেশ থেকে চিরমূলে উৎখাত হয়েছে। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে বর্তমান সরকার বৈধ নয়। অতীতে কখনও একদলীয় সংসদ টেকেনি, টেকতে দেয়া হয়নি, এবারও টেকতে দেয়া হবে না।”
দেশের সার্থে সবাই মিলে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিও জানান তিনি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহসচিব রফিকুল ইসলাম রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম, ড্যাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।