লিবিয়ার একটি তেলক্ষেত্রে শুক্রবার বিদ্রোহীদের হামলায় বাংলাদেশীসহ প্রায় ১০ জন বিদেশী নিখোঁজ হয়েছেন। তাদেরকে পণবন্দী করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার চেক রিপাবলিকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন।
চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবমির জাওরালেক জানান, আল-গনি তেলক্ষেত্রে নিখোঁজ শ্রমিকদের মধ্যে একজন চেক রিপাবলিক, একজন অস্ট্রিয়া ও অন্যরা বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের নাগরিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদেরকে অপহরণ করার সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
লিবিয়ার তেল নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, তারা বিদ্রোহীদের হামলার পর পুণরায় তেলক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। শুক্রবার ওই হামলায় সাতজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়।
জাওরালেক জানান, কোনো গ্রুপই এখন পর্যন্ত এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। হামলায় নিহতদের মধ্যে চেক নাগরিক নেই বলেও তিনি জানান।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ন্যাশনাল অয়েল কর্পোরেশন ওই তেলক্ষেত্রে কর্মরত একজন আফ্রিকানসহ অন্তত সাতজন নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মোহামদ আল হারিরি বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার একটি তেল কোম্পানি থেকে আসা বিদেশীরা তেল ক্ষেত্রটি পরিচালনা করছিল। হামলার ঘটনার পর থেকেই তারা নিখোজ রয়েছে। আমরা জানি না তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে।’
কর্নেল মুয়াম্মার আল গাদ্দিফির পতনের চার বছর পর লিবিয়ায় দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ও তাদের স্বশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। উভয় গ্রুপই দেশটির তেল সম্পদ দখলের জন্য মরিয়া। এই বিশৃংখলার সুযোগে দেশটিতে দুটি সশস্ত্র গ্রুপ ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আনসার আল শরীয়া দেশটিতে তাদের তৎপরতা শুরু করেছে।
সূত্র : রয়টার্স










































