দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বলছে, সার্বিক মূল্যস্ফীতি কম থাকার পরও তাদের অর্থনীতিকে স্থানীয় চাহিদার মন্থরতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সরকারি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর সিনহুয়া।
মাসিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ‘গ্রিন বুকে’ দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু তেলের কম দামের কারণে ভোক্তা পর্যায় মূল্যস্ফীতিতে শ্লথ গতি রয়েছে।
টানা তিন মাস ধরে দেশটির ভোক্তা মূল্যস্ফীতি ১ শতাংশের নিচে রয়েছে, যা দেশটিতে মূল্যসংকোচনের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভোক্তা মূল্য বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, যা প্রায় ১৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
যদি তামাকের মূল্যবৃদ্ধিকে বাদ দেয়া হয়, তবে ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তামূল্য আদতে কমেছে। তামাকের মূল্যবৃদ্ধিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশীয় পয়েন্ট।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সব ধরনের শিল্পের উত্পাদন কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০১৩ সালের মার্চের পর সবচেয়ে বড় মাসিক পতন। জানুয়ারিতে খনি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আউটপুট কমেছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পর সবচেয়ে বাজে অবস্থা।
জানুয়ারিতে বেসরকারি ভোগ কমেছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং সেবা খাতে বিনিয়োগ কমেছে ৭ দশমিক ১ শতাংশ