Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবারও প্রস্তুত সেই ৪ নায়ক

4-cricketerআট বছর পর বিশ্বকাপে আবারো মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত। পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ টোবাকো থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটে হেরে ২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ভারত। সেই যন্ত্রনা এখনো তাড়া করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ক্রিকেটের বিশাল এই মঞ্চে টাইগারদের হুঙ্কারের সামনে আবারো তারা। লড়াই এবার সেমিফাইনালে উঠার। হারলে এবারও বিদায়।

পোর্ট অব স্পেনে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জয়ের ভূমিকায় ছিলেন চার নায়ক-তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। তামিম ৫১, মুশফিক ৫৬ আর সাকিব ৫৩ রানের আলো ছড়ান ব্যাটে। তাদের তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ভারতীয়দের কাবু করে বাংলাদেশ। তার আগে ভারতের দলীয় ২১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছিলেন মাশরাফি। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে কেবল সৌরভ গাঙ্গুলীকেই দেখা গেছে কিছুটা লড়াকু। বাকিরা চোখে দেখেছিলেন সর্ষেফুল, উইকেটে এলেন আর গেলেন।

chardike-ad

আজকে যিনি ভারতীয় দলের অধিনায়ক সেই মাহেন্দ্র সিং ধোনীও পারেনি রানের খাতা খুলতে। তিন বল মোকাবেলায় শূন্য হাতে বিদায় নিয়েছিলেন ধোনী। এ ভাবে তিন ব্যাটসম্যানকে বাংলাদেশের বোলাররা সাজঘরে ফেরত পাঠান। টপ অর্ডারে সেওয়াগ, উথাপ্পা ও শচীন-এই তিনের ব্যাটিং যোগফল (২+৯+৭) ১৮ রান। অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিঢ় ১৪, জহির খান ও প্যাটেল ১৫ রান করে করেন। বাংলাদেশের মারাত্মক বোলিংয়ের মুখে সেদিন ওপেনিংয়ে নেমে দীর্ঘ ব্যাটিংয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী ৬৬ রান করেন, তাও ১২৯ বলে। সেদিক থেকে যুবরাজ ছিলেন কিছুটা লড়াকু, ৫৮ বলে করেন ৪৭ রান।

মাশরাফিদের একের পর এক আঘাতে টস জিতে ব্যাট করা ভারতীয় দল পারেনি পুরো পঞ্চাশ ওভার খেলতে। এমন কি তাদের ইনিংস ৪৯.৩ ওভার শেষে গুড়িয়ে যায় মাত্র ১৯১ রানে। মাশরাফি ওই ম্যাচে দখল করেন ৩৮ রানে ৪ উইকেট। হন ম্যাচ সেরা। আট বছর পর এবার মাশরাফির নেতৃত্ব্ সেই ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষ কুইন্স পার্ক ওভালের সেই বিজয়োল্লাসের পুনরাবৃত্তির স্বপ্ন দেখছে মেলবোর্নেও। যেখানে ভরসা হতে পারেন আবারো সেই চার নায়ক-মাশরাফি, মুশফিক, তামিম ও সাকিব। সঙ্গে যোগ হয়েছেন আরো দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। বিশেষ করে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের প্রশংসায় ক্রিকেট বিশ্ব পঞ্চমুখ।

ban-cricket

সাঙ্গাকারার পর এবারের বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি আছে তার। তাও ইংল্যান্ড ও শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তাকে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিরব সৈনিক। আলোচনার বাইরে থেকেও তিনি গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচে ৩৪৪ রান করে হন সেরাদের তালিকায় পঞ্চম। যেখানে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের। রান পাচ্ছেন, মুশফিক ও সাকিব। তামিম কিছুটা নড়বড়ে হলেও ভারতীয়দের বিপক্ষে ঠিকই জ্বলে ওঠার প্রতিজ্ঞা করছেন। ওপেনিংয়ে ইমরুল কায়েস নিজেকে মেলে ধরার দিনক্ষণ গুনছেন। সব মিলে দিনটি যদি নিজেদের মতো করে খেলতে পারে কিংবা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেন মাশরাফি বাহিনী তাহলে নতুন ইতিহাস অবধারিত। তবে বাংলাদেশের জন্য আর্শিবাদ হয়ে দেখা দিতে পারে পেছনে ফিরে দেখা সেই ম্যাচটি।

সেই মার্চের হুঙ্কার, মার্চেই আবার দেখা। ১৭ মার্চ ২০০৭ টু ১৯ মার্চ ২০১৫। তাই প্রত্যাশা সবার, ভারতের বিপক্ষে আবারো গর্জে উঠুক টাইগাররা, গর্জে উঠুক বাংলাদেশ।