Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

টিএসসিতে আম্পায়ারদের কুশপুত্তলিকা দাহ

TSCবিশ্বকাপের ২য় কোয়ার্টার ফাইনালে ফিল্ডিং করতে নেমে বাংলাদেশ ভালোই চেপে ধরেছিল ভারতকে। কিন্তু রুবেলের করা ৪০তম ওভারের ৪র্থ বলে আম্পায়ারের ‘নো’ ডাকাটা নিয়ে তৈরি হয় ব্যাপক বিতর্ক। সব মিলিয়েএই ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা পাকিস্তানের আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গৌল্ড মিলে ৩টি ভুল সিদ্ধান্ত নেন। আম্পায়ারিংয়ে পক্ষপাতিত্ব দেখে ক্ষিপ্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ডের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে টাইগারভক্তরা।

chardike-ad

এ সময় তারা আম্পায়ারদের উদ্দেশ্য করে নানা রকম স্লোগান দেন। এখানে মিলিত হওয়া সকলের অভিযোগ একই, ‘আম্পায়ররাই হারিয়েছে বাংলাদেশকে। আম্পায়াররা আসলে ভারতের দালাল। বাজে আম্পায়ারিংয়ের জন্য আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো উচিত বাংলাদেশের।’

TSCবিতর্কের শুরু হয় ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সূচনা থেকে। রুবেলের বল উড়িয়ে মারলেন ক্রিজে গেড়ে বসা ৯০ রানে অপরাজিত রোহিত শর্মা। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচটা লুফে নিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। দর্শক-সমর্থক, ফিল্ডারসহ বাংলাদেশের সবাই আউটের আনন্দ উপভোগও করা শুরু করেছে। তবে সেই আনন্দ বেশিক্ষণ টেকেনি। কারণ সেই আম্পায়ার; যাদের ভুল সিদ্ধান্তে এর আগেও একাধিকবার ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

ইয়ান গৌল্ডের সিদ্ধান্ত রুবেলের ওই বল ‘নো বল’। তার দাবি- বল কোমরের উপরের উচ্চতায় ছোড়া হয়েছে। কিন্তু বলটা কী আসলেই কোমরের উপরের উচ্চতায় ছিল? রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বলটা কোমরের নিচেই থাকত। রোহিত ক্রিজ ছেড়ে সামনে এসে খানিকটা নিচে নেমে খেলেছেন। বলটাও ছিল নিন্মমুখী।

সাধারণত কোমরের উপরের উচ্চতার সিদ্ধান্তের জন্য মূল আম্পায়ার লেগ আয়াম্পারের দারস্থ হন। কারণ লেগ আম্পায়ারই সবচেয়ে ভালো দেখতে পারেন দৃশ্যটা। কিন্তু এক্ষেত্রে লেগ আম্পায়ার আলীম দারের জন্য অপেক্ষাই করেননি গৌল্ড।

দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের একটু আগেই তারা মিস করেছে রিভিউ করার সুযোগটি; যা প্রশ্নবিদ্ধ। মাশরাফির বলে সুরেশ রায়না বেঁচে গেছেন থার্ড আম্পায়ারের কল্যাণে। রায়নাকে এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। আম্পায়ার না দিলে রিভিউ আবেদন করেন তিনি। সেখানেও টিভি আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিরুদ্বে গিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতের ইনিংস ৩০০ পার করিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি দুই আম্পায়ার। মনোবল ভাঙ্গা বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের যাওয়ার পর শুরু হয় তাদের আবারও ভারত জয়ের মিশন। ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলার দায়িত্বে নেওয়া মাহমুদুল্লাহর স্পষ্ট ছক্কাকে দেন ক্যাচ আউট। অথচ এই মাহমুদুল্লাহই আগের ২ ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিয়ান। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ক্যাচ ধরা ধাওয়ানের পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছে।

আম্পায়ারিং এ টাইগার ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি বিস্মিত শেন ওয়ার্ন, ভিভিএস লক্ষ্মণ, অর্জুন রামপাল, শোয়েব আখতারের মতো তারকারাও। টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তারাও।