বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক সৌদি আরবের দ্য কিং আব্দুল্লাহ ইকোনোমিক সিটির (কেএইসি) ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দেশটিতে নির্মাণাধীন নতুন ৪ সিটির মধ্যে এটি অন্যতম।
ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির চেয়ে বড় হবে।
শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নতুন শহরটির নির্মাণে খরচ পড়বে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যার বেশির ভাগই সরকারি অর্থায়নে সম্পন্ন হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মরুভূমির এই মেগাপ্রকল্পের সিটির আয়তন হবে ৭০ বর্গমাইল। গাড়িতে মক্কা ও মদিনা থেকে আসতে সময় লাগবে যথাক্রমে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট ও ৩ ঘন্টা। মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের রাজধানী শহর থেকে বিমানে আসতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘণ্টা বা তার সামান্য বেশি সময়।
কিং আব্দুল্লাহ বন্দরের ব্যবস্থাপক রায়ান বুখারি বলেন, এখানে বিশ্বের বৃহৎ বন্দর নির্মাণ করার লক্ষ্য আছে। তবে এটি কখনোই জেদ্দা বন্দরে প্রতিপক্ষ হবে না।
তিনি বলেন, প্রয়াত কিং আব্দুল্লাহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। আধুনিক ব্যবসায় অর্থনীতি তৈরি করতে উপজাতি ও আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংযুক্ত করেছিলেন। তার স্বপ্নের স্থান ছিল এ সিটি।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ রিয়েল স্টেট কোম্পানি ইএমএএআর নির্মাণ করছে। এটি প্রায় ২০ লাখ অধিবাসীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। পরিবহন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন সব ধরনের সুবিধা থাকবে এই সিটিতে।
ইএমএএআর ইকোনমিক সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাদি আল- রশীদ বলেন, সৌদি কোম্পানি পুরো এই প্রকল্প পরিচালনা করছে। ব্রিটিশ স্থপতি নরম্যান ফস্টার হারামেইন এই সিটিতে রেলওয়ে স্টেশনের নকশা করেছেন। মক্কা ও মদিনার সাথে সংযুক্ত করতে দ্রুত গতির ট্রেন যোগাযোগ চালু করা হবে; যাতে উমরাহ ও হজ পালনকারীরা এ সিটি ভ্রমণ করতে পারেন ; যে দুই নগরীতে মহানবীর (সা.) জন্ম ও মৃত্যু হয়েছে।
এক সূত্রে জানা যায়, গোটা সিটির কাজ ২০২০ সাল নাগাদ শেষ হতে পারে। এটি হবে সৌদির বাণিজ্যিক এলাকা।