বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নেইম বিবেচনা করা হয় যাকে, তিনি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় আজ পা দিলেন আটাশ বছরে।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০ প্রত্যেক ক্রিকেট সংস্করণে এক নম্বর অলরাউন্ডার হওয়ার গৌরব অর্জন এবং প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৪,০০০ রান করার গৌরব অর্জনকারী এই ক্রিকেটারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রিকেট অঙ্গনের অনেকে।
সাকিবের স্ত্রী শিশির ফেসবুকে তার পেজে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। লিখেছেন-
“সমালোচকরা তোমার সমালোচনা করবেন, যারা ঘৃণা করার তারা ঘৃণা করবেন, ভালবাসবেন যারা ভালবাসেন, সমর্থকরা সমর্থন দেবেন। আর আমি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত থাকবো তোমার জন্য। তোমার হাজারো সাফল্যের মাঝে যদি কখনো ব্যর্থতা আসে, সেদিনও আমি ঠিক এভাবেই পাশে থাকবো; একেই তো ভালবাসা বলে। শুভ জন্মদিন, আমার ভালবাসা, আমার বন্ধু আমার স্বামী। ভালবাসি তোমায়, তোমার অভাব বোধ করছি। জানি, এ মুহূর্তে তোমার পাশে নেই আমি, কিন্তু তোমার পেছনে আছি সবসময়”।
লেখক, সাংবাদিক আনিসুল হক তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
“শুভ জন্মদিন। সাকিব আল হাসান। তিনি অনেকবার আমাদের মাথা উঁচু করেছেন– অনেকবার। বাংলাদেশের একজন হয়েও তিনি পৃথিবীর এক নম্বর অল রাউন্ডার, ক্রিকেটের তিন ফরমেই। তিনি আমাদের অনেক গৌরবের মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন, অনেক দিতে পারবেনও। তাকে মনে রাখতে হবে, যা কিছু পেয়েছেন, তা দিয়েছে ক্রিকেট। কাজেই যাই ঘটুক না কেন, তিনি ক্রিকেটকেই এক নম্বর অগ্রাধিকার দেবেন, এটা তার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি। জানি, বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়া কোনো কিছুই স্থায়ী হতে দেয় না, আমরা আমাদের বীরদের হেয় করে আনন্দ পাই। সমালোচনা আছে, এমনকি আছে নিষ্ঠুর নির্মম আঘাতও। আমরা কারও সাফল্য সহ্য করি না, তাকে কাঁটার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করি, তার চলার পথকে বন্ধুর করে তুলি যাতে তার অস্তিত্ব রক্তাক্ত হয়। কিন্তু আমরা জানি, সাকিব আল হাসান হচ্ছেন অপরাজেয়, ভেঙে পড়ার পাত্র নন। তিনি এগিয়ে যাবেনই। আমাদের জন্য এনে দেবেন আরও অনেক অনেক গৌরবের মুহূর্ত। সাকিব আল হাসান, আমাদের দোয়া আপনার সঙ্গে আছে”।
১৯৮৭ সালে মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন সাকিব। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় এই বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনারের। সাকিব ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর শিক্ষার্থী। তার খেলার মান আর ধারাবাহিকতা তাকে নিয়ে গেছে এক নতুন উচ্চতায়, হয়েছেন দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়।
বাংলাটেলিগ্রাফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের এই ক্রিকেট নক্ষত্রকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।