Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিজেদের খোঁড়া গর্তেই যখন ভারত

Sydney

অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মেলবোর্নে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ক্রিকেটের মোড়ল ভারত। পছন্দের ভেন্যু, নিজেদের সুবিধামত উইকেট বানানো এবং আম্পায়ার পকেটস্থ করার পর ১৯ মার্চ মেলবোর্নে রীতিমত প্রহসন জন্ম দিয়েছিল ভারত আর আইসিসি। ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশ অধ্যায় পার হয়ে এবার খোদ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার সামনেই পড়ে গেলো ভারত।

chardike-ad

এবার দুই মোড়লের লড়াই। কিন্তু সমস্যা হয়েছে, নিজেদের খোঁড়া গর্তেই যখন পড়তে শুরু করেছে, তখনই ভারতীয়রা ছিঁচ কাঁদুনি শুরু করে দিয়েছে। বাংলাদেশকে বিদায় করার জন্য যত অনৈতিক আয়োজন ভারতীয়রা করেছিল, এবার যখন তার বিন্দু পরিমান অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তখনই হই হই করে উঠেছে পুরো ভারতীয় মিডিয়া।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেয়িলা আর ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচটি। এই ম্যাচকে ঘিরেই এখন উত্তপ্ত ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গন। কারণ, হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চাইছিল সিডনিতে পেস বোলারদের সুবিধা দিয়ে উইকেট তৈরী করতে। অসি পেসার জস হ্যাজলউড এবং অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সে রকম ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। পাকিস্তানকে হারানোর পর বলেছিলেন, ‘হোম টিম হিসেবে আমাদের জন্য এসসিজি কিউরিটেরের উচিৎ হবে বাউন্সি উইকেট তৈরী করা।’ আবার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলেছিলেন, ‘আশা করছি সিডনিতে আমাদের পেসাররা বাউন্স পাবে।’

এই তিন অসি ক্রিকেটারের প্রায় অভিন্ন একটি কথাই যেন মৌচাকে ঢিল ছোঁড়া হয়ে গেছে। মৌমাছির ঝাঁকেরমত আইসিসি বলুন আর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি বলুন- সবাইকে ঘিরে ধরেছে ভারতীয় মিডিয়া। তাদের একটাই দাবি, কোনমতেই স্বাগতিক হওয়ার সুবিধার্থে অস্ট্রেলিয়ার জন্য উইকেটের চরিত্র বদলানো যাবে না।

সবারই জানা কথা, আইসিসিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রভাব কতটুকু। শেষ পর্যন্ত- তাদের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে আইসিসিকে (মূলতঃ আইসিসি মানেই তো ভারতীয় ক্রিকেট কাউন্সিল)। সিডনির উইকেটের চরিত্র বদলে দেওয়ার মত কোন ঘটনা আপাতত ঘটছে না। কিউরেটর টম পার্কারের সঙ্গে আইসিসির পিচ কমিটির প্রধান অ্যান্ডি অ্যাটকিনসনও সিডনির উইকেট তত্ত্বাবধান করবেন।

সিডনিকে সব সময়ই বলা হয় স্পিন বান্ধব। এখানকার উইকেট থেকে কখনওই বাড়তি সুবিধা পায় না পেসাররা। এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার ৩৭৬ রান তাড়া করতে নেমেছিল শ্রীলংকা। ওই ম্যাচে যদি দিনেশ চান্ডিমাল আহত না হতেন, তাহলে লংকানরা জয়ের কাছাকাছি পর্যন্ত চলে যেতে পারতেন। আবার এই মাঠেই প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহির আর জেপি ডুমিনির ঘূর্ণির কাছে কুপোকাত হতে হয়েছিল লংকানদের। সুতরাং এমন স্পিন এবং ব্যাটিং বান্ধব উইকেট দেখে তো আগাম ভারতীয় টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রি হুঙ্কার ছাড়ছেন, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেবো আমরা।

এ অবস্থায় যখনই কথা উঠলো বাউন্সি উইকেটের, তখনই রা রা করে উঠলো ভারতীয় মিডিয়া এবং তাদের ক্রিকেট মহল। ভারতীয় মিডিয়ার দাবি, আইসিসির বিধান কোনভাবেই পরিবর্তণ করা যাবে না। নিজেদের ক্ষেত্রে যখন বিষয়টা দাঁড়ালো, তখন তাদের রক্ষাকবচ ‘আইসিসির বিধি বিধান’। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেগুলোর কোন ধারই ধারেনি তারা।