Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এক মণ ধানে ২ কেজি গোশত : দুই মণ ধানে ১ কেজি ইলিশ

paddyতিন মাসের ব্যবধানে

উত্তরাঞ্চলে মোটা ধানের বাজার দর আর এক দফা কমেছে। ৭৫০-৭৭৫ টাকার মোটা ধান এখন ৬০০-৬১০ টাকা মণ। বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুরের হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, ইরি-চায়না, পারিজা ধানের ক্রেতা নেই। হাটবাজারে অনেক চেষ্টা করে কৃষক ৬০০-৬২০ টাকা দরে ধান বিক্রি করছেন। দুই মাস আগেও এসব মোটা ধান ৭০০ টাকা মণ বিক্রি করা গেছে। এখন ৬১০ টাক মণ। এ জাতের মোটা চাল এখন ৯০০-৯৫০ টাকা মণ।

chardike-ad

কৃষকেরা জানিয়েছেন এখন ভারত থেকে প্রচুর চাল আসছে। এ জন্য চালকল মালিকদের চাল বিক্রি হচ্ছে না। তারা ধান কেনা অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ জন্য ধানের বাজার পড়ে গেছে।

উত্তরবঙ্গ চালকল মালিক সমিতির সহপ্রচার সম্পাদক আমিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভারত থেকে গত তিন মাসে লাখ লাখ টন শুল্কমুক্ত চাল আমদানি হয়েছে। দেশী চালের চেয়ে ভারতীয় চালের দাম কেজিতে কমপক্ষে এক টাক কম। এ জন্য উত্তরবঙ্গে হাজার হাজার চালকল বন্ধ। চালকল মালিকদের গুদামে মজুদ আছে লাখ লাখ মণ চাল। তারা ব্যাংকের দেনা শোধ করতে পারছেন না। এ জন্য ধান কিনতে পারছেন না। ধানের দাম কমে গেছে।

বোরো মওসুমে লোকসান কাটাতে ধান চাল ব্যবসায়ীরা আরো কম দামে ধান কিনবে। তাদের গুদামে মজুদ বেশি দামের ধানের সাথে সমন্বয় করে ব্যবসায়িক লাভ করতে হবে। ১০০০ টাকা মণ দরের ধানের সাথে ৬০০ টাকা মণ ধরের ধান কিনে গড় করলেও ধানের দর পড়বে ৮০০ টাকা। এ জন্য বোরো মওসুমে ধানের দর আরো কমতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন কৃষক।

ধানের বাজার কমলেও মাছ গোশতের বাজার চড়া। ইলিশের বাজারে বৈশাখী আগুন। এক কেজি ইলিশ ১৫০০-১২০০ টাকা। একজি গরুর গোশত ৩১০-৩২০ টাকা। ৬০০ টাকা মণ দরে দুই মণ ধান বিক্রি করে কৃষক কিনছেন এক কেজি ছোট ইলিশ। আর এক মণ ধান বিক্রি করে দুই কেজি গরুর গোশত কিনতে পারছেন না।