একটাই জয় পাকিস্তানের বিপক্ষে, সেটা ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর একমাত্র এই দলটিকেই কোনো ধরনের ক্রিকেটে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সেই বাস্তবতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই আসন্ন সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে ফেবারিট বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে তাই দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যানটা মনে করিয়ে দিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ফলটা এবারও তাঁদের পক্ষে যাবে বলেই আশাবাদী চোটের কারণে বিশ্বকাপে খেলতে না পারা হাফিজ।
১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৭ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে ওই জয় ছাড়া আর কখনো পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সফরে আসার আগে প্রতিপক্ষকে যেন ওই পরিসংখ্যানটাই মনে করিয়ে দিলেন হাফিজ, ‘সাকিব যেটা বলেছে সেটা আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাস থাকা সব সময়ই ভালো। আমি শুনেছি মাশরাফি প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারবে না। সাকিব নেতৃত্ব দেবে। আপনি যদি সাম্প্রতিক ইতিহাসটা দেখেন, আমরাই ওদের বেশি হারিয়েছি। একটা ম্যাচ ছাড়া ওরা আমাদের কখনোই হারাতে পারেনি।’
তবে এই পরিসংখ্যানের কারণে আবার বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে রাজি নন হাফিজ। বিশেষ করে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দেখে বাংলাদেশকে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ বলেই মনে হচ্ছে তাঁর, ‘বিশ্বকাপ তো শুধু হার-জিতের ব্যাপার নয়। ওরা ওদের পারফরম্যান্স দিয়ে অনেকের মন জয় করেছে। ওরা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে এবং এটা নিয়ে কোনো প্রশ্নও নেই। কারণ ভালো ক্রিকেট খেলেই তারা সেখানে পৌঁছেছে। আমরা তাদের হালকাভাবে দেখছি না, কারণ নিজেদের কন্ডিশনে ওরা খুব ভালো দল।’ গত দুই-তিন বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘মনে হতে পারে তাদের বিপক্ষে জেতা সহজ, আসলে তা নয়।’
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার হতাশা ভুলে গিয়ে পাকিস্তান নতুন করে শুরু করতে প্রস্তুত বলেও জানান হাফিজ, ‘যারা দলে ডাক পেয়েছে তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেই নির্বাচকদের চোখে পড়েছে। নতুন অনেক খেলোয়াড়কে নিয়ে আমরা একটি নতুন যুগ শুরু করতে যাচ্ছি। আশা করি আমরা ভালো করব। ছেলেরা এই সিরিজটা খেলার অপেক্ষায় আছে।’ ক্রিকইনফো।