নাশকতা ঠেকাতে পুলিশকে সহায়তা করায় গাইবান্ধা পলাশবাড়ি এলাকায় রবিলাল দাস নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যকে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়েছে ছাত্রশিবির কর্মীরা। এ ঘটনায় চার শিবিরকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিলাল দাস বাদী হয়ে গত ৬ এপ্রিল পলাশবাড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোশারফ হোসেন জানান, গাইবান্ধা পলাশবাড়ি সড়কে শিবির কর্মীদের পেট্রোলবোমায় অগ্নিদদ্ধ হয়ে আট বাস যাত্রী নিহত হওয়ার পর ওই সড়কে টহল জোরদার করা হয়। নাশকতা ও সহিংসতা এড়াতে ওই এলাকায় বিজিবির, র্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এবং গ্রাম পুলিশের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। তারপরও স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান শিবিরকর্মীদের সহযোগিতা করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলার বিবরণ উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, গত ৫ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টার দিকে গ্রাম পুলিশ রবিলাল দাস পোশাক পরে পলাশবাড়ি সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় টহল দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রায়তি নড়াইল ঝিলবান্দা নামক স্থানে পৌঁছলে শিবিরকর্মী ফয়সাল, রবিউল, সজিবসহ পাঁচ জন তার পোষাক টেনে ছিড়ে ফেলে এবং বেধড়ক মারপিট করে। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে শিবিরকর্মীরা চলে যায়।
পরে অন্য দুই গ্রাম পুলিশ আশরাফ হোসেন ও বদিয়ার রহমান রবি দাসকে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকেন। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন তাকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
দু’দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে উল্টো বিপদে পড়েন রবি দাস। শিবিরকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করায় ইউপি চেয়ারম্যান রোজিফা বেগম মিনা গালিগালাজ করে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেন। ইউপি চেয়ারম্যান তাকে জীবননাশেরও হুমকি দেন বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে।