পৃথিবীতে রয়েছে নানা ধরনের প্রাণী। এসব প্রাণীর মধ্যে এমন কিছু বিপজ্জনক প্রাণী রয়েছে যাদের নিঃসৃত এক ফোঁটা রসই মানুষের প্রাণ নাশের কারণ হতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এমন কিছু প্রাণীর তথ্য নিয়েই আজকের পরিবেশনা।
সি ওয়্যাসপ্স
এরা জেলিফিশের একটি প্রজাতি৷ কয়েক স্তরের কর্ষিকা এবং লাখ লাখ স্নিডোসাইট রয়েছে এদের। কেউ যদি এটা স্পর্শ করে তাহলে এই কর্ষিকার মাধ্যমে কয়েক লাখ সূক্ষ্ম বিষাক্ত হুল ফুটিয়ে দেয় দেহে। যেখানে হুল ফোটানো হয় সেখানে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে তিন মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে ওই ব্যক্তি। সি ওয়্যাসপ্স-এর লেজে এ পরিমাণ বিষ থাকে যে তাতে ২৫০ জন মানুষ মারা যেতে পারে।
বিষাক্ত ব্যাঙ
এই উজ্জ্বল হলুদ রংয়ের প্রাণীটি বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ব্যাঙ। দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকায় পাওয়া যায় এদেরকে। এরা একবারে দশজন মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
রিফ ফিশ
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে পাথরের মধ্যে এদের দেখতে পাওয়া যায়। এখানে এরা পাথরের সাথে এমনভাবে মিশে থাকে চেনাই যায় না। এই মাছ যখন কাউকে আক্রমণ করে তখন কাঁটা ফুটিয়ে দেয়, এর বিষের কারণে রক্তে নিম্নচাপ, ভেনট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন এবং পক্ষাঘাত হয়, যা পরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে।
ইনল্যান্ড তাইপান
এই সাপের বিষ ভারতের গোখরো সাপের বিষের চেয়ে ৫০ গুন বেশি শক্তিশালী। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ার ল্যান্ড স্নেক সবচেয়ে বিষধর হিসেবে পরিচিত। ইনল্যান্ড তাইপান ২৩০ বয়স্ক ব্যক্তিকে ধরাশায়ী করতে পারে। তবে স্বস্তির কথা হলো এই সাপের আবাস প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে মানুষের চলাচল কম।
সি স্নেকস ডুবোয়া
সামুদ্রিক সাপের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিষাক্ত। এরা ছোবল দিলে কোথায় ছোবল দিয়েছে এবং কখন দিয়েছে সেটা টেরই পাওয়া যায়না। কেবল আধঘণ্টা পরে সাপের দংশের শিকার ওই ব্যক্তির গলা শুকিয়ে যায়, এরপর সে তার হাত পা নাড়াতে পারে না। ধীরে ধীরে পুরো শরীর অচল হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়।
সামুদ্রিক শামুক কোন
সামুদ্রিক শামুকের খোলের বর্ণ বৈচিত্রের কারণে ব্যাপক চাহিদা৷ কিন্তু এই যে শামুকটিকে দেখছেন এর সৌন্দর্য্যের পেছনে আছে মারাত্মক বিষ ভাণ্ডার। সেই বিষের এক ফোঁটায় ২০ জন মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।
ব্লু রিং অক্টোপাস
সাধারণ পরিবেশে এটি হালকা বাদামী রংয়ের। কিন্তু যখন আগ্রাসী হয়ে ওঠে তখন এর গায়ে উজ্জ্বল নীল রংয়ের রিঙ দেখা যায়৷ যখন একটি কামড়ায় তখন এর বিষাক্ত লালা স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মানুষটি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
ডেথস্টকার কাকড়া বিছা
সবধরনের কাকড়া বিছা মানুষের জন্য হানিকর নয়। তুরস্ক, আরব উপত্যকা এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এদের বসবাস। পটাসিয়াম সায়ানাইডের চেয়ে ১৮ গুণ বেশি শক্তিশালী এই কাকড়া বিছা’র বিষ।
