Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইতিহাসের সামনে ‘ছোট ব্র্যাডম্যান’

Muminul

বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান। ইতিমধ্যে খ্যাতি পেয়ে গেছেন ছোট ব্র্যাডম্যান নামে। টেস্ট গড়ের দিক থেকে গ্রেট ব্র্যাডম্যানের পরেই অবস্থান বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের। এবার নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার।

chardike-ad

টানা ১২ টেস্টে ৫০ কিংবা তার অধিক ইনিংস খেলার রেকর্ড রয়েছে শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে টানা ১০ ম্যাচে এই কীর্তি গড়ার রেকর্ড ছিল মাত্র ৬জন ব্যাটসম্যানের। এবার এ তালিকায় সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে যোগ হলেন মুমিনুল হক।

টানা ১০টি ম্যাচে ৫০ কিংবা তার অধিক রানের ইনিংস খেলে ফেললেন মুমিনুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি খুলনা টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫২ রানে তামিম ইকবালের উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন মুমিনুল। এরপর ১০৮ বল খেলে চারটি বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ৮ম হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।

সবচেয়ে মজার কথা হলো, এ নিয়ে ১৩তম টেস্ট খেলছেন বাংলাদেশের এই বাম হাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ২৩ এবং ২৯ রানে আউট হয়েছিলেন মুমিনুল। এছাড়া বাকি ১২টি ম্যাচেই কোন না কোন ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান রয়েছে তার। এর মধ্যে চারটিকে তিন অংকের ঘরও স্পর্শ করিয়েছেন তিনি।

২০টি কিংবা তারও বেশি টেস্ট ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে স্যার ডোনাল্ড (ডন) ব্র্যাডম্যানের পরই রেকর্ড বুকে আগেই নাম লিখেছিলেন বাংলাদেশের লিটল মাস্টার মুমিনুল হক। এ নিয়ে ১৩ টেস্টের ২৪ ইনিংসে মুমিনুলের টেস্ট গড় ৬৫.৬৮ করে। স্যার ব্র্যাডম্যানের তো সেই কিংবদন্তী ৯৯.৯৪ গড়। মুমিনুলের পরে রয়েছেন প্রোটিয়া কিংবদন্তী গ্রায়েম পোলক, ৬০.৯৭ গড় নিয়ে।

তবে যে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে মুমিনুল, সেটি ব্র্যাডম্যানেরও নেই। এমনকি ব্রায়ান লারা-রিকি পন্টিং-রাহুল দ্রাবিড়ের মত ব্যাটসম্যানরাও নেই এই রেকর্ডের তালিকায়।

আর মাত্র দুই টেস্ট। পরের দুই টেস্টেও যদি মুমিনুল কোন না কোন ইনিংসে ৫০ কিংবা তার বেশি রান করতে পারেন তাহলে এ তালিকায় শীর্ষে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান ২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ২০১৪’র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২টি টেস্টের কোন না কোন ইনিংসে ৫০ কিংবা তারও বেশি রান করেছেন। এর মধ্যে আবার সেঞ্চুরি রয়েছে ৬টি।

ডি ভিলিয়াসের্রর পর সর্বোচ্চ ১১ টেস্টের কোন না কোন ইনিংসে ৫০-এর বেশি রান করেছেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তী স্যার ভিভ রিচার্ডস। ১৯৭৬ সালের শুরু থেকে ১৯৭৭ সালের শেষ পর্যন্ত এ ইনিংসগুলো খেলেন তিনি। রিচার্ডস ছাড়াও টানা ১১ টেস্টের কোন না কোনটিতে ৫০ এর অধিক রান রয়েছে ভারতের গৌতম গম্ভীর এবং বিরেন্দর শেবাগের। এছাড়া টানা ১০ টেস্টে এই কীর্তি রয়েছে ইংল্যান্ডের জন এডরিখ এবং ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের। তাদের সঙ্গে বসে গেলো এবার মুমিনুল হকের নাম।

মুমিনুলের পর হুমকি হিসেবে ছিলেন শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা। যদিও গত আগস্টে টানা ৯ টেস্টে এই কীর্তি গড়ার পর থমকে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকেও। সুতারং, মুমিনুলের পেছনে আর কোন ব্যাটসম্যান আপাতত হুমকি হিসেবে নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার এভারটন উইকস, ইংল্যান্ডের আলেক স্টুয়ার্ট, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস, অস্ট্রেলিয়ার সাইমন ক্যাটিচরা টানা ৯টি টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি কিংবা তার বেশি রান করেছিলেন।

এছাড়া টানা ৮ টেস্টে এই কীর্তি গড়ার রেকর্ড রয়েছে ১০জন ব্যাটসম্যানের। যাদের মধ্যে স্যার গ্যারি সোবার্স, ভারতের ভিভিএস লক্ষ্মণ, ইংল্যান্ডের ওয়ালি হ্যামন্ড, গ্রাহাম গুচ, এন্ড্রু ফ্লিন্টফদের মত ব্যাটসম্যানরা রয়েছেন। টানা ৭ টেস্টে এই কীর্তি গড়েছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানও।

 

 

*টেস্ট ক্রিকেটে টানা ১০ ম্যাচে ৫০ কিংবা তারও বেশি রান

খেলোয়াড় ৫০ শেষ তারিখ
এবি ডি ভিলিয়ার্স ১২টি ২০ ফেব্রু, ২০১৪
ভিভ রিচার্ডস ১১টি ১৮ ফেব্রু, ১৯৭৭
গৌতম গম্ভীর ১১টি ২৪ জানু, ২০১০
বিরেন্দর শেবাগ ১১টি ১ অক্টো, ২০১০
মুমিনুল হক ১০টি ২৮ এপ্রিল, ২০১৫
জন এডরিখ ১০টি ১২ ফেব্রু, ১৯৭১
শচিন টেন্ডুলকার ১০টি ৯ অক্টো ২০১০