Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় যাচ্ছে অষ্টম বেতন কাঠামো

betonপে কমিশন সুপারিশের কিছুটা কাটছাঁট করে চূড়ান্ত করা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অষ্টম বেতন কাঠামো আগামী ৭ মে’র পর অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করবে এ সংক্রান্ত সচিব কমিটি। সচিব কমিটির সুপারিশ হাতে পাওয়ার পর বিশ্লেষণ করে সেটি চূড়ান্ত করতে তা মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

সূত্র বলছে, আগামী ৭ মে অর্থমন্ত্রী আজারবাইজান থেকে দেশে ফিরবেন। তিনি বর্তমানে আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৪৮তম বার্ষিক সভায় অংশ নিচ্ছেন।

chardike-ad

জানা গেছে, নতুন স্কেলে চাকরিজীবীদের বেতন সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বিধি মোতাবেক, অর্থমন্ত্রী সচিব কমিটির সুপারিশ হাতে পেলে সেটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। চলতি বছরের জুলাই থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হবে। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে সচিব কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। জানা গেছে, নতুন বেতন স্কেলে কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২শ’ টাকা বহাল থাকছে। তবে বেতন কমিশনের সুপারিশে থাকা বেশ কিছু ভাতা বাদ দেয়া হয়েছে।

অষ্টম বেতন কমিশনের রিপোর্ট পর্যালোচনা কমিটি কয়েক দফা বৈঠকের পর এসব বিষয় চূড়ান্ত করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন বেতন কাঠামো আগামী পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে শতভাগ বেতন স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে না। পর্যায়ক্রমে দুই থেকে তিন ভাগে বাস্তবায়নের চিন্তা করছে সরকার। জানা গেছে, নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে নতুন বাজেটে বরাদ্দ রাখছে সরকার। ১৩ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ থাকছে এবার।

সরকারি চাকরিজীবীদের শতভাগ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে ২১ ডিসেম্বর অষ্টম বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সেখানে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ও সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২শ’ টাকা বেতন স্কেলের সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের বেতন এক লাখ টাকা এবং সিনিয়র সচিবদের বেতন ৮৮ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বেতন বৃদ্ধির হারের সঙ্গে পেনশন বৃদ্ধির সুপারিশও করা হয়েছে।

কমিশনের রিপোর্ট পেয়ে সরকার একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে। পহেলা জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় কমিটিকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বেতন কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিরূপণ করে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব। নির্ধারিত সময়ে কমিটি বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে পরবর্তী সময়ে আরও এক মাস কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

পে-কমিশন বেতন কাঠামোয় ২০টির পরিবর্তে ১৬টি গ্রেডের সুপারিশ করেছে। এতে বর্তমান ৮ম ও ৯ম গ্রেডকে একীভূত করে নতুন ৮ম গ্রেডের বেতন ধরা হয়েছে। একইভাবে বর্তমান ১২ ও ১৩ নম্বর গ্রেড এক করে নতুন ১১তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান স্কেলের ১৭ ও ১৮ নম্বর গ্রেড একীভূত করে নতুন ১৫ নম্বর গ্রেড নির্ধারণ এবং বর্তমান ১৯ ও ২০নং গ্রেড এক করে নতুন ১৬ নম্বর গ্রেড তৈরির সুপারিশ এসেছে। পর্যালোচনা কমিটি ১৬টি গ্রেড ঠিক রেখেছে।

সৌজন্যেঃ জাগোনিউজ