যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন নিয়ে জালিয়াতির মাত্রা বাড়ছে। আবেদনের সাথে অনেক আবেদনকারী জাল-কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। মঙ্গলবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দূতাবাস। ইতোমধ্যে এমন অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
জালিয়াতির প্রবণতা ঠেকাতে এখন থেকে আরও কঠোরভাবে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবে বলে জানিয়েছে দেশটি। একইসাথে বলেছে, জালিয়াতির প্রবণতা ঠেকাতে তারা বাংলাদেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের কোনো জালিয়াতি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্টদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাথে একসাথে কাজ করছে, যাতে কাগজ জালিয়াতি করা দালালদের পাশাপাশি কোনো আবেদনকারী ভিসা সাক্ষাৎকারে এসব কাগজপত্র ব্যবহার করলে তাদের গ্রেফতার করতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জালিয়াতি চিহ্নিত করতে পারার ব্যাপারে কনস্যুলার কর্মকর্তাদের দক্ষতার কারণে এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও বাংলাদশেী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে এ ব্যাপারে সহযোগতিা আরো দৃঢ় হওয়ায় কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতারের হার বাড়ছে।
দূতাবাস বলেছে, ভিসা সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতি, মিথ্যা তথ্যের দলিলপত্র রাখা এবং নকল কাগজপত্র তৈরি, বিতরণ ও ব্যবহারের চক্রান্তের সাথে জড়িত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের আইনে অপরাধ।ভিসা আবদেনকারীরা এসব অপরাধের কোনো একটি করলেও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ডাকতে একটুও দ্বিধা করে না।
কোনো ভিসা আবেদনকারী দালালের সাহায্য নিয়ে সাক্ষাৎকারের সময় দেখানো কাগজপত্রে তথ্য, এগুলোর বৈধতার জন্য এবং আবেদনপত্রের জন্য আবেদনকারী এবং দালাল দু’জনই দায়ী থাকবে। জাল কাগজপত্রসহ ধরা পড়া কোন ভিসা আবেদনকারী অজ্ঞতার কারণে এ কাজ করছে বলে আইনি প্রক্রিয়া থেকে ছাড় পাওয়ার আশা করতে পারে না।
সৌজন্যেঃ অর্থসূচক