এই বুঝি ফলোঅনের লজ্জায় পড়ল বাংলাদেশ! সকালে এমন একটা সংশয় জেঁকে বসেছিল সবার মনে। কিন্তু শেষমেশ ‘রক্ষা’ হয়েছে! কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে। ৩৫৪ রানের লিড পাওয়ার পরও পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ভরসা পেলেন না আরেকবার ফিল্ডিং করার। বাংলাদেশকে ফলোঅন না কারিয়ে বরং দুই ওপেনারকে আবারও পাঠিয়ে দিলেন ২২ গজে। এতে বেশ বিস্ময় সৃষ্টি হলো পাকিস্তানের এমন সিদ্ধান্তে।
পাকিস্তানের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদের সংবাদ সম্মেলনেও এ প্রসঙ্গ এল ঘুরেফিরে। মুশতাক মনে করেন প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই এমন সিদ্ধান্ত, ‘প্রতিপক্ষের প্রতি আমাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। তারা দারুণ দল। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই ওই রানকে (৩৫৪) যথেষ্ট মনে হয়নি। দুদিনে ১৮০ ওভার হাতে রেখেই তাদের চাপে রাখতে চেয়েছি।’
তবে ম্যাচ এখন পাকিস্তানের হাতে। যদিও সেটা এখনই মানতে রাজি নন মুশতাক, ‘খেলার পরিস্থিতি বুঝতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে তিন দিনে জয়ের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি। আমাদের হাতে আরও প্রচুর সময় রয়েছে। আমরা উইকেটে গিয়ে রানের দিক থেকে তাদের চাপে রাখতে চেয়েছি। এখন আমাদের ভালো বল করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু সেটিকে ধরে রাখতে হলে বোলিং ভালো করা জরুরি। সঙ্গে ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে। ক্যাচ হাতছাড়া করা চলবে না। তাহলেই সম্ভাবনা আছে জয়ী হওয়ার।’
সকালে সাকিবের ব্যাটিং বেশ মুগ্ধ করেছে মুশতাককে। বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের প্রশংসা করেই নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আরেকবার বললেন, ‘সাকিব দারুণ খেলেছে। সামগ্রিক চিত্রটা যদি দেখেন, তারা কিন্তু সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাটিং করেছে। কাজেই এটা দলের সিদ্ধান্ত (ফলোঅন না করানো)। দলের সিদ্ধান্তেই আমাদের অটল থাকতে হবে।’
৫৫০ রানের লক্ষ্য দিয়ে তবেই থেমেছে পাকিস্তান। ম্যাচের ফল যা-ই হোক না কেন, পাকিস্তানের এই সফরে বাংলাদেশের আরেকটি ‘জয়’ হলো। এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেও জিততে না-পারা পাকিস্তান ৩৫৪ রানের লিডকেও যথেষ্ট মনে করেনি। বাংলাদেশকে যে আর কোনোভাবেই হালকা করে দেখা চলবে না, এই শিক্ষা পাকিস্তানের হয়ে গেছে!