প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র রমজানের আগেই ২০ হাজার নারী শ্রমিককে সৌদি আরবে পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বাংলাদেশ সফররত সৌদি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আবরের সরকার এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার উন্মুক্ত করে। পরবর্তীতে দেশটির সঙ্গে চুক্তির আলোকে বাংলাদেশ থেকে ৫ লাখ নারী শ্রমিক নেওয়ার কথা জানায় তারা। দেশটি ইতোমধ্যে ৫০ হাজার নারী শ্রমিক নেওয়ার প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে। রমজানের আগেই তারা ৫০ হাজার গৃহকর্মী নিতে চায়। তবে আমাদের প্রস্তুতি ও পর্যাপ্ত নারী শ্রমিকের চাহিদা না থাকায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের প্রতিনিধি দল বাংলদেশে এসে ভিসা প্রস্তুত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। আমরা আমাদের ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সিকে ২০০ করে নারী শ্রমিক প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছি। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো খুব শিগগিরই নারী শ্রমিক সংগ্রহ করে সৌদি পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সৌদি আরবে নারী শ্রমিক পাঠানোর জন্য সারাদেশে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে। তবে নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবের সঙ্গে ৮০০ রিয়েল বেতনের যে চুক্তি হয়েছে; তা একজন গৃহশ্রমিকের সর্বনিন্ম বেতন। কাজ ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করে বেতন এর চেয়ে বেশিও হবে। তাই কম বেতনের অজুহাত দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকা ঠিক নয়।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব খন্দার ইফতেখার হায়দার, জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহারসহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধি ছাড়াও সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের উপমন্ত্রী আহমেদ এফ আল ফাহিদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরব বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের দেশটিতে সফরের পর বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার খুলে দেয় তারা। পরবর্তীতে ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশ থেকে নারী শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে চুক্তি করে সৌদি প্রতিনিধি দল। চুক্তির আলোকে প্রতিমাসে ১০ হাজার নারী শ্রমিক নেওয়ার কথা থাকলেও সব চূড়ান্ত করে বৃহস্পতিবার পূণরায় বাংলাদেশে এসে ভিসা প্রস্তুুতির বিষয়টি জানিয়েছে সৌদি প্রতিনিধি দল।