Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সহজ হচ্ছে ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা

Bd_Indiaট্যুরিস্ট ভিসা পেতে আর যেতে হবে না ভারতীয় হাইকমিশন বা ভিসা সেন্টারে। অনলাইনে আবেদন করে এক মাস মেয়াদের ট্যুরিস্ট ভিসা এখন সহজেই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশিদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা সহজ করার এমনই উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সামনে এক ভাষণে ভারতের নতুন চালু করা ইলেকট্রনিক ভিসা পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেবেন।

chardike-ad

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের জনগণের কাছে ভারতের পজেটিভ ইমেজ তৈরির অংশ হিসেবেই ট্যুরিস্ট ভিসার ভোগান্তি দূর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। এ জন্যই গত বছরের নভেম্বরে চালু করা বিশ্বের ৪৫ দেশের নাগরিকদের জন্য ভারতের ইলেকট্রনিক ভিসা সিস্টেমে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেখানেই ছবি ও পাসপোর্টের কপিসহ অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে হবে। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রায় ৬০ মার্কিন ডলার বা পাঁচ হাজারের কিছু কম টাকা ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে। তখন ফিরতি ই-মেইলে একটি ইলেকট্রনিক ট্যুরিস্ট ভিসা (ইটিভি) ভিসার কপি চলে আসবে।

এই কপি দেখিয়ে আবেদনের চার দিন পর থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ভারতের নয়াদিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, কোচিন, গোয়া, হায়দ্রাবাদ ও ট্রিভানড্রাম এ নয়টি বিমানবন্দরের যে কোনো একটি দিয়ে প্রবেশ করা যাবে। তবে আবেদনকারীকে অবশ্যই রিটার্ন এয়ার টিকিট ও পর্যাপ্ত অর্থ জমা দেখাতে হবে। ভারতে প্রবেশের পর থেকে মোট ৩০ দিন মেয়াদ থাকবে। বছরে দুবার এমন ভিসায় ভারতে ভ্রমণ করা যাবে।

জানা যায়, সর্বশেষ চীন সফরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি চীনা নাগরিকদের জন্য এ ভিসার ঘোষণা দেন। এর আগে গত নভেম্বরে ৭৫টি দেশের জন্য এই সুবিধা দিয়েছিল ভারত। এখন বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্ত হলে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৭-এ। অবশ্য ২০১৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ১৫০-এ উত্তীর্ণ করতে যাচ্ছে ভারত। এতদিন বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসার জন্য বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অনলাইনে ই-টোকেন পেয়ে সাক্ষাৎকারের তারিখের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি এই ভোগান্তি কমাতে ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া অন্য ভিসার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় ছাড়াই ভিসা সেন্টারে জমা দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিল ভারত। এখন ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য নতুন নিয়মে আগের তুলনায় অর্থ বেশি লাগলেও ভ্রমণেচ্ছুদের ভোগান্তি পুরোপুরি লাঘব হবে।