মন্ত্রিত্ব হারানোর পর নানা জল্পনা কল্পনার মধ্যে অবশেষে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঢাকাস্থ হোসেনপুর সমিতির এক ইফতার পার্টিতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এলজিআরডি দপ্তর হারানো প্রসঙ্গে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামের আদর্শবাদের উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘লাভের জন্য আমি রাজনীতি করি না। আমার বাবাও বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানি করেননি। বেঈমানি না করে তিনি মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন। আমার শরীরেও সেই রক্ত।’
নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমি মন্ত্রী থাকি বা না থাকি, রাজনীতি করি বা না করি, কিশোরগঞ্জ-হোসেনপুরের জনগণের জন্য কাজ করে যাবো।’
প্রসংগত, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব নিলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী হন সৈয়দ আশরাফ। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠন করলে দলের সাধারণ সম্পাদককে একই মন্ত্রণালয় দেন শেখ হাসিনা। তবে গত বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) সৈয়দ আশরাফকে সে মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দফতরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
উল্লেখ্য, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে।