Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আটকে গেছে সাকার রায় ফাঁসের মামলা

sakaমানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে প্রায় দুই বছর হলো। পুলিশ তদন্ত শেষ করে আনলেও এখনও বিচার শুরু করা যায়নি।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদ- দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

chardike-ad

রায় ঘোষণার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এতে ট্রাইব্যুনালের কর্মী ফারুক, পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী ও সাকার আইনজীবী ফখরুল ইসলামের জুনিয়র মেহেদীকে আসামি করা হয়। ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।

প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবির) পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান। এতে বলা হয়, মিডিয়ায় রায় প্রকাশ হলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী মেহেদী হাসানের চেম্বারে যায় এবং রায় কীভাবে ফাঁস হলো জানতে চায়। মেহেদী হাসান তাকে জানায় রায়ের কপি তার কাছ থেকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার নিয়ে গেছে। তারাই অনলাইনে এ রায় ফাঁস করে। মেহেদী নয়ন আলীকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

নয়ন আলীর জবানবন্দির ভিত্তিতেই ফখরুল ইসলাম ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, আসামিরা বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশ-বিদেশে বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করতেই কৌশলে রায়ের কপি সংগ্রহ করে তা এমএস ওয়ার্ড থেকে পিডিএফ-এ রূপান্তর করে িি.িঃৎধরনঁহধষষবধশং.নব নামক অনলাইনে প্রকাশ করেন।

কিন্তু এরও এক বছর হয়ে গেলো, প্রতিবেদন পাওয়ার পরও আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা যায়নি। সালাউদ্দিন আদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর অসুস্থতার অযুহাতে তার আইনজীবীরা বারবার শুনানি পেছাচ্ছেন। ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালে আগামী ২৭ জুলাই এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের কর্মীরা।

মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় তার আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির জন্য এই পর্যন্ত চার-পাঁচবার সময় নিয়েছে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। গত ১০ জুন চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। সেদিন ফখরুল ইসলামকে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করে। এ ছাড়া সাকার ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে কিন্তু সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী হাজির হতে না পারায় তার আইনজীবী এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন সময়ের আবেদন করেন।

আইনজীবী ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। অপর তিন আসামি সাকার ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী কারাগারে আটক আছেন। তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

এ ব্যাপারে ঢাকার সাইবার ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘অসুস্থার কথা বলে একাধিকবার সময় নিয়েছেন সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী। আদালত তাদের এইবারই শেষ সময় দিয়েছেন। আগামী তারিখে কোন আসামি উপস্থিত থাক বা না থাক আদালত অভিযোগ গঠন করবেন।