ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন। বুধবার শিলংয়ের চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগে তার বিচার কার্য শুরু হয়। বিচারক কেমএল নম্বর ব্রি ৩০ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন।
এর আগে গত ৩ জুন শিলং পুলিশ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।
সালাহ উদ্দিনের আইনজীবী এসপি মহন্ত বলেন, তার মক্কেল অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আইসি ঝা বলেন, সালাহ উদ্দিন তার অপরাধ স্বীকার করলে আদালত শাস্তি দিয়ে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিতে পারেন।
আইনজীবীরা বলছেন, বিচারে সালাহ উদ্দিন দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে জেলে পাঠাবেন। খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন পুলিশ হেফাজতে শিলংয়ের ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর গত ১১ মে শিলং পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। খবরে বলা হয়, সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ৫ বছরের জেল হতে পারে।
গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে সালাহ উদ্দিনকে তুলে নেয়া হয় বলে তার পরিবার দাবি করে আসছে। হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন তার স্ত্রীকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি। চোখ-হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।