২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০২ সালে প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত আটটি টেস্ট খেলে টাইগাররা। তবে কোনো টেস্টই পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিতে পারেনি নতুন টেস্ট খেলুড়ে দেশটি। সবগুলো টেস্টেই বাংলাদেশ হেরেছিল তৃতীয় ও চতুর্থ দিনেই।
সময় বদলেছে। এখন আর সেই বাংলাদেশ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে চলমান টেস্টে বাংলাদেশ লিড নিয়েছে। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের শেষ সেশন ও চতুর্থ দিনের কোনো সেশনই খেলা হয়নি। ফলে টেস্ট গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের নতুন এক মাইলফলক। অনেকে হয়তো বলতে পারেন যে বৃষ্টির কারণে টেস্টটি পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। তারা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন যে, বৃষ্টি না হলেও এই টেস্টটি পঞ্চম দিনে গড়াত।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নবম টেস্ট মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে। বৃষ্টির বাগড়ায় চতুর্থ দিনের খেলা হয়নি। ফলে পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে টেস্ট। এর আগে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে প্রথমবারের মতো লিড নেয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২৪৮ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তোলে ৩২৬ রান। ফলে লিড পায় ৭৮ রানে। যা ছিল আরেকটি মাইলফলক। বৃষ্টির বাগড়া না হলে হয়তো আরো কিছু মাইলফলক দেখা যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেস্টটি ড্র হলে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ড্র করার কৃতিত্ব অর্জন করবে বাংলাদেশ।
২০০২ সালে প্রথম টেস্টটি শেষ হয় চারদিনে। বাংলাদেশ হার মানে ইনিংস ও ১০৭ রানে। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয় তিনদিনে। বাংলাদেশ হার মানে ইনিংস ও ১৬০ রানে।
২০০৩ সালের প্রথম টেস্ট শেষ হয় চারদিনে। বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ও ৬০ রানে। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয় চারদিনে। বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ও ১৮ রানে।
২০০৮ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট শেষ হয় চারদিনে। বাংলাদেশ হেরে যায় ৫ উইকেটে। দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয় চারদিনেই। দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ইনিংস ও ২০৫ রানে।
২০০৮ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট শেষ হয় চারদিনে। বাংলাদেশ হেরে যায় ইনিংস ও ১২৯ রানে। দ্বিতীয় টেস্টটি শেষ হয় তৃতীয় দিনে। বাংলাদেশ হার মানে ইনিংস ও ৪৮ রানে।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টটি ইতিমধ্যে পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ম্যাচের গতিবিধি অনুযায়ী বলা যায় এই টেস্টটি ড্র হচ্ছে।