Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লেবাননে অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা

lebanonগত দুই সপ্তাহে লেবাননে মারা যান তিনজন মহিলা। রিতা নামে একজন মহিলা শ্রমিক রাস্তা পার হতে গিয়ে ঘাতক গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যায়। তার লাশটা এখনো হাসপাতালের মর্গে আছে। আরেকজন সাহিদা নামে মহিলা শ্রমিক অসুস্থ হয়ে মারা যান।

আজ আরো একজন মহিলা শ্রমিক নাসিমা উত্তর লেবানন জুবাইল সিটির এক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছে। হেল্প কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির জানিয়েছেন, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশার বাণী শুনিনি।

chardike-ad

শুক্রবারও স্বপ্না নামে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে মারা যান। অসুস্থ হবার পর স্বপ্নার খুব ইচ্ছে ছিল নিজের দেশে নিজের আত্মীয় স্বজনের কাছে ফিরে যাবে, লেবাননে তার বৈধ কাগজ পত্র ছিলনা, তাই বাংলাদেশ দূতাবাসে অনেক কষ্ট করে কিছু টাকা জমা দিয়েছিলেন দেশে যাবার জন্য।

কিন্তু স্বপ্নার জীবন্ত দেশে যাওয়া হলনা হলনা। দূতাবাসের কাগজ পত্র ঠিকঠাক হবার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সেকি ভেবে ছিল যে মৃত্যু তাকে লেবাননের মাটিতেই ডাক দেবে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দূতাবাস চালু হবার আগে লেবাননে কনস্যুলেট অফিসের মাধ্যমে লেবানন জেনারেল সিকিঊরিটি থেকে বেশ কয়েক বছর সাধারণ ক্ষমা দিয়ে অবৈধদের শুধু বিমান টিকিট কেটে দেশে যাবার সুযোগ ছিল। দূতাবাস চালু হবার পরেও বিষয় টি চালু ছিল। কিন্তু হঠাত সুযোগটা বন্ধ হয়ে গেল।

একট সুযোগ আছে, যত বছর অবৈধ তত বছরের জরিমানা দিয়ে দেশে যেতে হবে যার পরিমাণ দুইশত আমেরিকান ডলার। কিন্ত তাতেও সমস্যা, দেশে যাবার ডাক আসতে অনেক সময় লাগে। বেশ কয়েকজন প্রবাসী অভিযোগ করেছেন টাকা পয়সা জমা দিয়েও এত সময় লাগে কেন।

আর দূতাবাস থেকে জানিয়েছেন, লেবাননের আইনে যা আছে তার বাহিরে কিছু করার সুযোগ নাই।

অপর দিকে যারা অসুস্থ তাদেরকে বলা হয় ডাক্তারের সার্টিফিকেট সহ কাগজ পত্র জমা দিতে। যাতে করে সে অতিদ্রুত দেশে যেতে পারে। তার পরও দুই তিন মাস সময় লাগে।

লেবাননে বাংলাদেশি সকল কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করে বলেন, যে তিনি চাইলেই লেবানন সরকারের সঙ্গে আলোচনে করে বিষয়টি মিটকরা সম্ভব। তা না হলে এখানে বাংলাদেশিরা খুবই অসহায়। এমন কি শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য মুল্য থেকেও বঞ্চিত।

সাধারণ প্রবাসীদের অভিযোগ, তারা কেউ কেউ অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে, মানবিক দিক থেকে চিন্তা করে হলেও লেবাননের সরকারের সঙ্গে যেন বাংলাদেশ সরকার আমাদের সুবিধার্থে ভাল একটা চুক্তিতে পৌঁছায়।