n.koreaবৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়ে উত্তর কোরিয়া একে ‘য্দ্ধু ঘোষণা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। একই সঙ্গে দেশটি দম্ভের সঙ্গে বলেছে, সিউল ও হোয়াইট হাউসে প্রতিশোধমূলক হামলার সামর্থ্য তাদের রয়েছে।

সিউল ও ওয়াশিংটন সোমবার ‘উলচি ফ্রিডম’ নামের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে। এতে হাজার হাজার সৈন্য অংশ নেয়। এ মহড়াকে পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক বললেও পিয়ংইয়ং একে উস্কানিমূলক উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছে।

chardike-ad

চলতি বছর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে তীব্র উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যৌথ এ সামরিক মহড়া শুরু হয়। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে সিউলের দুই সৈন্য বিকলাঙ্গ হয়। এ বিস্ফোরণের জন্যে সিউল পিয়ংইয়ংকে দায়ী করেছে।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, মহড়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। না হয় যে কোন পরিণামের দায় ওয়াশিংটনকে বহন করতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারমাণবিক হামলার উস্কানির’ মুখে পিয়ংইয়ং প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেবে।

এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার কমিটি ফর দ্য পিসফুল রিইউনিফেকশন অব কোরিয়া (সিপিআরকে) পৃথক এক বিবৃতিতে এ মহড়ার নিন্দা জানিয়ে একে ‘আকস্মিক পরমাণু যুদ্ধ মহড়া’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, হোয়াইট হাউস ও সিউলের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় ব্লু হাউস উত্তর কোরিয়ার সামরিক অস্ত্র হামলার সীমার মধ্যেই যে রয়েছে সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সতর্ক থাকা উচিত।

উল্লেখ্য উত্তর কোরিয়া এ ধরণের হামলার হুঁশিয়ারি এর আগেও কয়েকবার দিয়েছিল।