Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিশ্বের শীর্ষ দশ গোয়েন্দা সংস্থা

intelechual-agencyগোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন দেশের সরকারি বিশেষায়িত সংস্থা যা আইন প্রয়োগে, জাতীয় নিরাপত্তা সংরক্ষনে, সামরিক প্রতিরোধে ও বৈদেশিক নীতি প্রনয়নের সহায়তার জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, গবেষনা ও প্রয়োগ করে।

সরাসরি কিংবা গোপনীয় বিভিন্ন ভাবে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো তথ্যাদি সংগ্রহ করে থাকে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজের প্রেক্ষিতে দুটো অশে ভাগ করা যায়।

chardike-ad

প্রথমত, নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত গোয়েন্দা সংস্থা: যা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। দ্বিতীয়: বৈদেশিক কাজে নিযুক্ত গোয়েন্দা সংস্থা: যা বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতকি তথ্যাদি সংগ্রহে নিযুক্ত থকে। কিছু গোয়েন্দা সংস্থা গুপ্তহত্যা, সামরিক অভ্যূথ্থানের সাথে সংশ্লিষ্ট।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। যারা ইতিহাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আলোচিত। পাঠকদের জন্য আজ থাকছে বিশ্বের শীর্ষ দশ গোয়েন্দা সংস্থার বিবরণ।

মোসাদ, ইসরাইল
স্থাপিত: ১৩ ডিসেম্বর ১৯৪৯।
কর্মী সংখ্যা: অজ্ঞাত, সম্ভাব্য সংখ্যা ১২০০।
সদর দপ্তর: তেল আভিভ ইসরাইল।
জবাবদিহিতা: প্রধানমন্ত্রী
সংস্থা প্রধান: তামির পারদো
বাজেট: অজ্ঞাত মূল
দায়িত্ব: নিজস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী, বিদেশী কূটনৈতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, সাইবার ওয়েলফেয়ার পরিচালনা।
প্রধান বিচরণ এলাকা: সমগ্র সৌরজগত
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী: এমএসএস, এফ এস বি, এম আই এস আই আর আই, হিজবুল্লাহ, হামাস  বিখ্যাত।
অপারেশন: অপারেশন জেরাল্ড বুল কিলিং ১৯৯০, আতেফ বেইসো হত্যা ১৯৯২।
যোগাযোগঃ http://www.mossad.gov.il/default.aspx

সি আই এ, যুক্তরাস্ট
স্থাপিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭
কর্মী সংখ্যাঃ অজ্ঞাত,
সম্ভাব্য সংখ্যা ২০,০০০
সদর দপ্তর: জর্জ বুশ সেন্ট্রার ফর ইন্টেলিজেন্স, ভার্জিনিয়া, ল্যাংলী।
জবাবদিহিতা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সংস্থা প্রধান: ডেভিড পেট্রাউস বিভাগ: মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিভাগ গঊঘঅ, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগ ঙঝঅ, রাশিয়ান ও ইউরোপিয়ান বিভাগ ঙজঊঅ, এশিয়া প্যাসিফিক, ল্যাটিন আমেরিকা, ও আফ্রিকা বিভাগ (অচখঅঅ)। বাজেট: ২৬ বিলিয়ন, ঘোষিত।
মূল দায়িত: সাধারণ ভাবে বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে সহায়তা।
যোগাযোগ:https://www.cia.gov

এম আই সিক্স, যুক্তরাজ্য
গঠন: ১৯০৯ সাল সিক্রেট সার্ভিস ব্যুরো
সদর দপ্তর: ভাউক্স হল ক্রস লন্ডন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংস্থা প্রধান: এলেক্স ইয়োংগার।
মূল দায়িত্ব: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা।
বিখ্যাত এজেন্ট: জেমস বন্ড
বিখ্যাত অপারেশন: অপারেশন কাপকেক।
যোগাযোগ:https://www.sis.gov.uk

এম এস এস, গনচীন
কর্মী সংখ্যা: ২০০৫ সালে দলত্যাগী দুইজন চীনা এজেন্ট থেকে জানা গেছে শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই এম এস এস এর ১০০০ ইনফর্মার আছে।
সদর দপ্তর: বেইজিং
জবাবদিহিতা: স্টেট কাউন্সিল অফ চায়না
সংস্থা প্রধান: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
বিভাগ: ১২ টি ব্যুরো তে বিভক্ত।
মূল দায়িত্ব: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বর্ডার সার্ভেইল্যান্স, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, কাউন্টার টেররিজম। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী: সারা দুনিয়ার বেশিরভাগ গোয়েন্দা সংস্থা।

বি এন ডিউ, জার্মানী
স্থাপিত: ১ এপ্রিল ১৯৫৬
সদস্য সংখ্যা: ৬৫০০
স্থাপিত: ৩ এপ্রিল ১৯৯৫
সদর দপ্তর: বার্লিন, জার্মানী
জবাবদিহিতা: জার্মান চ্যান্সেলারী ও ফেডারেল মিনিস্ট্রার অব স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স ।
সংস্থা প্রধান: আর্নেস্ট উহর্ল মুল দায়িত: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা।

এফ এস বি, রাশিয়া
স্থাপিত: ৩ এপ্রিল ১৯৯৫
পূর্বসূরি: কেজিবি (তার আগে চেকা )
কর্মী সংখ্যা: ৩,৫০,০০০
সদর দপ্তর: ল্যুবিয়াঙ্কা স্কোয়ার, মস্কো
জবাবদিহিতা: প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান ফেডারেশন
সংস্থা প্রধান: মিখায়েল ফার্দকভ
সাহায্যকারী/সহকারী সংস্থাঃ গ্রু বিভাগ: ১০ টি
মূল দায়িত্ব: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বর্ডার সার্ভেইল্যান্স, রপ্তানী নিয়ন্ত্রণ, কাউন্টার টেররিজম, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী, বিদেশী কূটনৈতিকদের ওপর নজরদারি।
নামকরা এজেন্ট: আন্না চ্যাপম্যান
যাগাযোগ:http://www.fsb.ru

ডিজিএস ইউ ডাইরেকশন জেনারেল ডি লা সিক্রেতে এক্সটেরিয়র, ফ্রান্স
দেশ: ফ্রান্স
গঠন: ২ এপ্রিল ১৯৮২
পূর্বের সংস্থা: ইডিসিইএস
সদর দপ্তর: ১৪১ বুলভার্ড মর্টেয়ার, ২০তম প্যারিস, ফ্রান্স
জবাবদিহিতা: প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সংস্থা প্রধান: এরার্ড কর্বিন ডি ম্যাঙ্গাউক্স
সহকারী সংস্থা: ডি সি আর আই
মূল দায়িত্ব: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, বন্ধু ভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা, কাউন্টার টেররিজম, ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী, আভ্যন্তরীণ সকল গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ।
নামকরা এজেন্ট: মার্ক ওব্রেইরে, ডেনিস অ্যালেক্স, হার্ভ জাউবার্ট, পেরি মার্টিনেট, জেরার্ড রয়েল। প্রধান বিচরণ এলাকা: আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া।
যোগাযোগ:http://www.defense.gouv.fr/english/dgse

আই এস আই, পাকিস্তান
স্থাপিত: ১৯৪৮
কর্মী সংখ্যা: অজ্ঞাত, সম্ভাব্য সংখ্যা ১০,০০০
সদর দপ্তর: আবপাড়া ইসলামাবাদ
জবাবদিহিতা: পাকিস্তান সরকার সংস্থা
প্রধান: জেনারেল জহিরুল ইসলাম
বিভাগ: ৮ টি
মূল দায়িত্ব: সরকারের ভিতরে সরকার,আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ, দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, গুপ্ত হত্যা, বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন, বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে সহায়তা, কাউন্টার টেররিজম, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী, বিদেশী কূটনৈতিকদের ওপর নজরদারি, শত্রু এজেন্টদের সন্ধান, নতুন প্রযুক্তি সংগ্রহ, ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন পরিচালনা, অবৈধ অস্ত্র ও ডায়মন্ড কেনা বেচা, জিহাদি ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালনা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্পিওনাজ। প্রধান বিচরণ এলাকা: দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, সেন্ট্রাল এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্ব।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী: “র”, মোসাদ।
বিখ্যাত অপারেশন: সোভিয়েত বিরোধী আফগান যুদ্ধ, কার্গিল যুদ্ধ, ওয়ার অন টেরর ওয়াজিরিস্তান, বালুচিস্তান এ আকবর বুগাতি হত্যা।

“র” বা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং, ভারত
গঠন: ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮
সদর দপ্তর: নতুন দিল্লী
জবাবদিহিতা: প্রধানমন্ত্রীর অফিস
সংস্থা প্রধান: রজণিদের খান্না
সহকারী সংস্থা: ৫ টি
মূল দায়িত: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, বন্ধু ভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা, কাউন্টার টেররিজম, ক্ল্যান্ডেস্টাইন অপারেশন, বৈদেশিক নীতি নির্ধারনে সহায়তা, গুপ্তহত্যা, নিজেস্ব লোক সংগ্রহ ও নেটওয়ার্ক তৈরী, আভ্যন্তরীন সকল গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ। প্রধান বিচরণ এলাকা: বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা আফগানিস্তান তিব্বত, ম্যাকাও, মধ্যপ্রাচ্য, সেন্ট্রাল এশিয়া, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের ভারতীয় বংশভূত জনগোষ্টি বাস করে এমন যে কোন এলাকা ।
প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী: আইএস আই, এম এসএস (চীন), জিআইপি (সৌদি), ডিজিএফ আই।
বিখ্যাত অপারেশন: বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ ,খুটাপারমাবিক ঘাটির ব্লু প্রিন্ট চুরি, সিকিম অপরেসশন, আফ্রিকায় নাবিবিয়া ট্রেনিং, শ্রীলংকায় অপারেশন ক্যাকটাস, অপারেশন চানক্য।

এ এস আই এস, অস্ট্রেলিয়া
গঠন: ১৩ মে ১৯৫২
সদর দপ্তর: ক্যানবেরা, অস্ট্রেলিয়া
বার্ষিক বাজেট: ১৬২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী
সংস্থা প্রধান: নিক ওয়ার্নার
মূল দায়িত্ব: বৈদেশিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স পরিচালনা, বন্ধু ভাবাপন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দেশ ও মিত্রদের অর্থনৈতিক ও সামরিক স্বার্থ রক্ষায় গোয়েন্দা তৎপরতা পরিচালনা। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চিন, ইন্দোনেশিয়া ও উত্তর কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
যোগাযোগ: http://www.asis.gov.au