Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তিন বছরেও খোলেনি আমিরাতের শ্রমবাজার

arab-bangladesh২০১২ সালের আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য বন্ধ। সরকারের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও গত তিন বছরেও খোলেনি আমিরাতের শ্রমবাজার। নিরাপত্তা ও বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত বিষয়ে দুদেশ গত বছর চুক্তি স্বাক্ষর করলেও শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে এখনও রাজি হয়নি আমিরাত সরকার।

বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আমিরাতের নেতিবাচক মনোভাব পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে গত তিন বছরে বিস্তর আলোচনা করেও মেলেনি কোনও সুসংবাদ।

chardike-ad

বর্তমানে বাসায় গৃহপরিচারক ছাড়া অন্য কোনও পেশায় ভিসা দিচ্ছে না আমিরাত সরকার।

২০১২ সালের আগস্ট থেকে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশিদের জন্য তার শ্রমবাজার বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো-২০২০ নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ দুবাইকে প্রথম দফায় ভোট না দেওয়ার কারণে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়ে। এটি সহজভাবে নেয়নি আরব আমিরাত।

২০১৩ সালে ওয়ার্ল্ড এক্সপো নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ দুবাইকে সমর্থন দিলে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার বিষয়টি আরও সহজ হতো বলে মনে করেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।

এ নির্বাচনে বাংলাদেশ রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় প্রথম দফায় রাশিয়াকে ভোট দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে আমিরাতকে সমর্থন দেওয়া হবে।

প্যারিসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি তিন দফা চলে এবং আমিরাত রাশিয়াকে পরাজিত করে ওয়ার্ল্ড এক্সপোর ভেন্যু হিসাবে নির্বাচিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন কারণে দেশটিতে অভিযুক্ত আসামি। এরমধ্যে ১৯ জন মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ১০৪ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তারা খুন, ডাকাতি, চোরাকারবারি, জুয়ার আসর বসানো থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনসংখ্যা এখন প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে স্থানীয় আরব আছে নয় লাখ। বাকিরা বিভিন্ন দেশের অভিবাসী। বাংলাদেশি আছে ১০ লাখের মতো।

স্থানীয়রা সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে নিরাপত্তাজনিত বিষয় ও বেআইনি কার্যপলাপে আমিরাতের স্থানীয়রা বেশ স্পর্শকাতর।

ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় প্রতিদিনই আমিরাতের সংবাদপত্রগুলো বাংলাদেশিদের অপরাধ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছে। আমিরাতের জেলখানায় বাংলাদেশি কয়েদির সংখ্যা একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ। আমিরাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির তীব্র সংকট রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তা ও বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কারণে বাংলাদেশের ওপর আমিরাত সরকারের ভরসা বাড়লেও শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে এখনও রাজি হয়নি তারা। বিষয়টি অনেকটা তাদের মর্জির ওপর নির্ভর করে।

তবে চুক্তি দুটির সফল বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশিদের অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাদের সরকারের সাথে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।