Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নামাজের জায়গা দিলেন হিন্দু ব্যবসায়ী!

Prayersভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শিবসেনা যখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে, ঠিক তখনই ব্যতিক্রম ঘটনার জন্ম দিলেন এক হিন্দু ব্যবসায়ী। নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি অংশ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের ওই চামড়া ব্যবসায়ী।

পুনের মুকুন্দ নগর এলাকার নুর মসজিদের ট্রাস্টি হাজি শওকত আলি বলেন, ‘ আমাদের মসজদটি অনেক পুরোনো ও ছোট। এ কারণে গত মার্চে আমরা মসজিদটি পুর্ননির্মাণ শুরু করি। কিন্তু এসময়ে আমরা নামাজ আদায়ের জন্য কোনো জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না।’

chardike-ad

মুসলমানদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে চামড়া ব্যবসায়ী দিলিপ কালেকে সহযোগিতার অনুরোধ জানানো হলে তিনি নিঃশঙ্কোচে এগিয়ে আসেন।

মুকুন্দ নগরে যে মসজিদটির পুর্ননির্মাণ কাজ চলছিল, তার ঠিক উল্টোপাশেই দিলিপ কালের দোকান। তার দোকানের প্রায় আড়াই হাজার স্কয়ার ফিট ফাঁকা জায়গা রয়েছে। কারণ ওই ভবনটি নির্মাণাধীন হওয়ায় কালে এখনো দোকানে তার মালামাল সাজাননি। তাই ফাঁকা থাকায় জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য জায়গাটি ছিল উপযুক্ত।

কালে বলেন, ‘তারা (মুসলমানরা) আমার কাছে সহযোগিতার জন্য এসেছিল এবং আমি তাদের দোকানটি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেই। সবচেয়ে বড় কথা এরাতো আমারই লোক। ৪০ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে বসবাস করে আসছি।’

মুসলমানদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে দিলীপ তার দোকানের মেঝেতে মার্বেল পাথর বসিয়ে দিয়েছেন। অজুর সুবিধার্থে তিনি কল বসিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শান্তিতে নামাজ আদায়ের জন্য তিনি ফ্যান ও লাইটেরও ব্যবস্থা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমাম আজম বলেন, ‘ভবনের যে অংশটি কালে নামাজের জন্য ছেড়ে দিয়েছে, এর মাসিক ভাড়া ১ লাখ রুপি। কিন্তু সে আমাদের কাছ থাকে একটি পয়সাও নেয়নি। গত এপ্রিল থেকে আমরা জায়গাটি নামাজের জন্য ব্যবহার করছি এবং মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরো কয়েক মাস লাগবে। সে পর্যন্ত এই জায়গাটি ব্যবহার করতে হবে।’

নামাজের জন্য নিস্বার্থভাবে জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া দিলীপ কিন্তু তার এ কাজকে একেবারে সাধারণ হিসেবেই দেখছেন।

তিনি বলেন, ‘যতদিন মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ না হচ্ছে, ততদিন তারা জায়গাটি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে। আমার মনে হয় না আমি খুব বড় কিছু করেছি। টাকা দিয়ে আমি করব? আমি কোনো ভাড়া চাই না।’