Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

“কৃতজ্ঞ” আমির চিটাগাংকে প্রতিদান দিতে চান

amirজীবনের অন্ধগলি পেরিয়ে আমির আলোর পথে সামিল হচ্ছেন। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে  সাজা ভোগ করে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। দেশের ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিউবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, চিটাগাং ভাইকিংসের মালিক আব্দুল ওয়াহেদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। প্রতিদানে নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিতে চান।

‘আন্তর্জাতিক লিগে এটাই আমার প্রথম সুযোগ। খেলায় ফিরতে পেরে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সুযোগ কাজে লাগাতে আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। চিটাগাং ভাইকিংসের চেয়ারম্যান আদ্বুল ওয়াহেদ ভাইয়ের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি আমার দলকে আমি আমার সেরাটাই দিতে পারব।’ বলেন আমির।

বিপিএলের গত আসরে খেলতে না পারলেও আমির বঙ্গদেশের এই টুর্নামেন্টের খোঁজ খবর রাখতে ভোলেননি, ‘গত আসরে অনেক খেলোয়াড়কে এখানে পারফর্ম করতে দেখেছি। ম্যাচগুলো বেশ প্রতিযোগিতা পূর্ণ ছিল। অনেকে এখানে নিজেকে প্রমাণ করে নিজ নিজ জাতীয় দলে ফিরেছেন। এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেটও এই আসর থেকে অনেক উপকৃত হয়েছে। প্রথম আসরের পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে এর প্রভাব পড়তে দেখি।’

chardike-ad

পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করায় আমিরকে নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা অনেক। তরুণ এই পেসার সেটা ভালোই টের পাচ্ছেন, ‘বিষয়টা স্বাভাবিক। যখন একজন খেলোয়াড় ভাল করতে থাকেন, তখন তাকে ঘিরে প্রত্যাশা বেড়ে যায়। খেলোয়াড় হিসেবে ভাল করাটা আমাদের কাজ। একজন মুসলিম হিসেবে আমি আল্লাহ’র সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করি। আমি চেষ্টা করবো যাতে আমার দলকে ভাল কিছু দিতে পারি।

বিপিএলের নয়া এই আসর ঘিরে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আমির বললেন পোড় খাওয়া পেশাদারি কথা, ‘সত্যি কথা বলতে কী, আমি কখনো লক্ষ ঠিক করি না। ম্যাচের অবস্থা বুঝে পরিকল্পনা করি। সেই সঙ্গে দলের স্ট্রাটেজি মাথায় রাখি। যখন আপনি দলের পরিকল্পনা মতো কাজ করবেন, তখন লক্ষ এমনিই অর্জিত হবে।’

পাঁচটা বছর ক্রিকেটের বাইরে থেকে পরের দিনগুলো কঠিন হবে এটা আমিরের জানাই আছে। কিন্তু আসন্ন সেই দিনগুলোকে মধুর করাটা অসম্ভব বলে মনে করছেন না তিনি, ‘পাঁচ বছর পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা খুব সহজ নয়। কিন্তু পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়াটা আমার ডিউটির ভেতর পড়ে।’

‘কঠিন দিনগুলো’তে যারা পাশে থেকেছেন তাদের নাম করতে ভোলেননি এই পাক পেসার, ‘সব সময় আমি আমার পরিবার এবং ভক্তদের পাশে পেয়েছি। বিশেষ করে সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব আখতার, মাইকেল আথারটন এবং মাইকেল হোল্ডিংয়ের নাম বলতে চাই। তারা সবাই আমাকে প্রচুর সমর্থন দিয়েছেন। পিসিবি এবং আইসিসির প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।’

চিটাগাং ভাইকিংসের প্রতি আরেকবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আমির বলেন, ‘বাংলাদেশি দর্শকরা আমাকে আগেও সমর্থন করেছেন। এবার তাদের দেশে আসছি। আশা করি, তারা আমাকে সমর্থন করবে।’