Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মঞ্চে জ্ঞান হারান সুরঞ্জিত সেন!

suronjit২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় বিস্ফোরণের শব্দে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মঞ্চে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। সোমবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার শাহেদ নূরে আদালতে জবানবন্দিতে একথা বলেন মামলাটির ২০৩নং সাক্ষী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

জবানবন্দিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাসহ তিনি নিজেও ছিলেন। বিকাল ৫টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ হবার পরপরই মঞ্চ এবং মঞ্চের সামনে গ্রেনেড চার্জ হয়। এসময় বিস্ফোরিত গ্রেনেডের তীব্র শব্দে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তার শরীরে ২৬টি স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূণ্য করার জন্যই সেদিন রাষ্ট্রীয় মদদে সমরাস্ত্র দিয়ে এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

chardike-ad

এদিকে সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলাটির আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে থেকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটক আসামিদের কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।