জনসম্মুখে বক্তৃতা দিতে ভয় পান? চাকরির সাক্ষাত্কারে নার্ভাস হয়ে পড়েন? এ রকম উদ্বেগ কম-বেশি সবারই থাকে। কিন্তু কিছু মানুষ এসব পরিস্থিতিকে জয় করে সামনে এগিয়ে যায়। আবার অনেকের জন্য তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়; তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হয়। আর নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, মানুষ দুশ্চিন্তার কারণে খারাপ সিদ্ধান্ত নেয়। খবর মেডিকেল নিউজ টুডে।
গবেষণাটির প্রধান লেখক ও যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্স বিভাগের বিটা মোঘাড্ডাম ও তার সমকর্মীরা দ্য জার্নাল অব নিউরোসায়েন্সে এ বিষয়ক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেসের (এনএএমআই) তথ্যানুসারে, দেশটির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ উদ্বেগজনিত ব্যাধিতে ভুগছেন, যার মধ্যে রয়েছে দুর্ঘটনা-পরবর্তী মানসিক বৈকল্য, ভীতি সমস্যা ও সামাজিক উদ্বেগ ব্যাধি।
বিটা মোঘাড্ডাম ও তার সমকর্মীরা গবেষণায় উল্লেখ করেন, মস্তিষ্কের আবেগময় অংশে উদ্বেগ কীভাবে প্রভাব ফেলে তা আগের গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে, যেমনটা দেখা হয় সংকটময় পরিস্থিতিতে জীবজন্তুর মস্তিষ্ক কীভাবে সাড়া দেয়।
কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে উদ্বেগ বা ভীতি কেবল আবেগময় অংশে কাজ করে না, এটা তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়ও প্রভাব ফেলে। ফলে ব্যক্তিগত কাজ ও সম্পর্কের ওপর হস্তক্ষেপ করে।
গবেষক দল খতিয়ে দেখেছে, কীভাবে উদ্বেগ বা ভয় দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিকল্পগুলো কীভাবে উঠে আসে।
এ গবেষণার জন্য ইঁদুরের দুটি দলের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। একটি দলের ইঁদুরকে ভীতি সৃষ্টি করে, এমন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এর পর তাদের মস্তিষ্কের কোষ বিশ্লেষণ করা হয়। অন্য দলের তুলনায় ওষুধ প্রয়োগকারী ইঁদুরগুলো স্বাভাবিক কাজে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে। গবেষকদের মতে, ভীতির কারণে মানুষেরও স্বাভাবিক দক্ষতা প্রকাশ পায় না এবং সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়।