Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট বা মূল্য বৃদ্ধি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

d9বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ রয়েছে। চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্য দেশে মজুত রয়েছে।

তিনি বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কোন পণ্যের সংকট হবার সম্ভাবনা নেই। অসৎ উদ্দেশ্যে কোন মহল পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

chardike-ad

বাণিজ্যমন্ত্রী রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ সব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিগত দিনে ব্যবসায়ীরা আন্তরিকতার সাথে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। এবারও ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কোন পণ্যের সংকট বা অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঘটবে না। সকল পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। পণ্যের সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। আমদানিকারক ও সরবরাহকারীরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে টিসিবি পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে সরবরাহ করবে, সে মোতাবেক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল, ডাল, লবন, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, খেজুরের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করেছেন আসন্ন রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্যের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধি হবে না।

তিনি আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পণ্য মজুত রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোপূর্বে সরকার ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতায় সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। এবারও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) নাজনিন বেগম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন আকবর, টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জে. সালেহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং এনএসআই প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী সভাপতি কাজী আনোয়ার হোসেন, এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপক মো. সাসেল হোসাইন, বাংলাদেশ লবন মিলস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোসতাক হায়দার চৌধুরী, টিকে গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিউল আহমদ তছলিম, মেঘনা গ্রুপের উপদেষ্টা এম এইচ মুন্সী সভায় উপস্থিত ছিলেন।