Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ থামানো জরুরি: এএলআরসি

pqXjPK95HtzCবাংলাদেশে অপরাধের বিচারের নামে ‘বিচারবিহীনভাবে যথাযোগ্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে’ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টার (এএলআরসি)। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩২তম সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করা লিখিত বিবৃতিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।

এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) জানিয়েছে, ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে টানা আলোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে গত ১০ বছর ধরে এএলআরসি বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সমস্যা বিশ্লেষণে কাজ করে আসছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং বন্দি নির্যাতন বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগ ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরণের প্রতিটি ঘটনায় আলাদা আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেসব প্রতিবেদনে পাওয়া দলিলাদি এ বাস্তবতা প্রমাণে যথেষ্ট।

chardike-ad

 

বিবৃতিতে এএলআরসি বলেছে, ‘তথাকথিত সন্দেহভাজনদের মেরে ফেলার জন্য আইন বহির্ভূত পদ্ধতি প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো দেশের বিচার ব্যবস্থাকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ‘বিচার ব্যবস্থার কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই’। এটি জনগণকেও জানিয়ে দিয়েছে, বন্দুকের গুলি সব ধরণের বিচারিক কার্যক্রমের ওপরে।’

 

এছাড়াও বলা হয়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা যেভাবে প্রতিবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এড়িয়ে যাচ্ছে, এতে এটাই প্রমাণিত হয়, বিচার ব্যবস্থার ন্যয়বিচার করতে অক্ষম। এটাও ফুটে ওঠে, দেশের সংবিধানে যা-ই লেখা থাকুক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সদস্যরা আইনেরও উর্ধ্বে; আদালতের ‘আইনের চোখে সবাই সমান’ নীতিটি তাদের বেলায় খাটে না।

দেশটিতে চলমান বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের চরম লঙ্ঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার জরুরি পর্যালোচনা প্রয়োজন বলে মনে করে এএলআরসি।