Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দাবি উঠছে, যেয়ো না মেসি

messiiiiiচিলির সঙ্গে হারটাই বড় ধাক্কা ছিল আর্জেন্টিনার জন্য। ২৩ বছরের শিরোপা-খরা ঘোচানোর এত কাছে এসে আরও একবার ফিরতে হলো খালি হাতে। কিন্তু শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর আর্জেন্টাইনরা কি জানত, আরও বড় ধাক্কা আসছে। হারের কিছুক্ষণ পরই লিওনেল মেসি ঘোষণা করলেন, ‘জাতীয় দলে তাঁর সময় শেষ।’
মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন, তা-ও মাত্র ২৯ বছর বয়সে! শুধু আর্জেন্টিনা সমর্থকই নয়, বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের কাছেও বড় চমক হয়ে এসেছে আর্জেন্টিনা অধিনায়কের এ ঘোষণা। টানা তিন বছরে তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালের এত কাছে গিয়েও হতাশায় পুড়তে হওয়ার আক্ষেপ তাঁকে পোড়ানোরই কথা। তাই বলে এভাবে হঠাৎ অবসর? অনেকে তো মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত সবকিছু ভেবে নয়, বরং মুহূর্তের আবেগের বশে নেওয়া।
সতীর্থ গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর ধারণা, মেসি তাঁর সিদ্ধান্ত আবারও বিবেচনা করবেন, ‘আমার মনে হয় ও মুহূর্তের উত্তেজনায় সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। কারণ দুর্দান্ত একটা সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। মেসিকে ছাড়া জাতীয় দল আমি কল্পনাই করতে পারি না। মনে হয় ও এটা আবারও ভেবে দেখবে।’ আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডকে তাঁর সিদ্ধান্ত আবারও বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছেন গ্যারি লিনেকারও। সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার টুইট করেছেন, ‘মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছে। কিন্তু আশা করি, লিটল জিনিয়াস তার মন বদলাবে, আর আমাদের আরও একটি বিশ্বকাপে আনন্দ দেবে।’
মেসিকে আবারও আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেখার আকুতি জানিয়ে টুইট করেছেন অনেকেই। হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘নো তে ভায়াস মেসি’—এই প্রবণতা কাল টুইটারে ছিল দ্বিতীয় সেরা। বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, যেয়ো না মেসি! একই দাবি নিয়ে নাকি রোজারিওতে মেসির বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা। তাঁদের চাওয়া মেসির অবসরের সিদ্ধান্তটা নেবেন তাঁরা, মেসি নন। কয়েক দিন আগে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে গণভোট হয়েছে, সেই ব্রেক্সিটের আদলে মেসির অবসরের বিষয়ে ‘মেক্সিট’-এর ওপর ভোট নেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
বুয়েনস এইরেসে এক সমর্থকের দাবি, ‘আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার আগে মেসি অবসর নিতে পারেন না। আমরা এটা হতে দেব না। রেফারেন্ডাম যেহেতু এখন একটা ফ্যাশন, ও রকম কিছুর আয়োজন করে আমরা দেখতে পারি কতজন সমর্থক তাঁর অবসরের বিপক্ষে!’
তাঁরাও চান না, মেসির আর্জেন্টিনা ক্যারিয়ারের শেষ দৃশ্য হয়ে থাকুক একটা পেনাল্টি উড়িয়ে মারা।