Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বন্দুকযুদ্ধে’ বিএনপি নেতা নিহত!

bondukjoddoসাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অলিউল্লাহ মোল্লা (৪২) নামের বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অলিউল্লাহ মোল্লা শ্যামনগরের কাশিমারী গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে। তিনি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন খুলনার দৈনিক ‘অনির্বাণ’-এর শ্যামনগর উপজেলার সাবেক প্রতিনিধি।

chardike-ad

শনিবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের ভাষ্য, অলিউল্লাহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ আরো জানায়, বন্দুকযুদ্ধের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি শাটার গান ও বিস্ফোরিত বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুধাংশু শেখরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাশিমারী ইউনিয়নের গাংহাটি চোরাখাল কালভার্টের ওপর টহল দিচ্ছিল। এ সময় একদল লোক মোটরসাইকেলে দ্রুতবেগে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দেয়।

তবে তারা তা মানেনি। উল্টো তারা পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেলসহ পড়ে যায়। অন্যরা মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

কামাল হোসেন জানান, শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী গ্রামের নাশকতার বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ মোল্লা হিসাবে শনাক্ত করা হয়।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত অলিউল্লাহর লাশ শ্যামনগর থানায় রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত বিএনপি নেতা অলিউল্লাহ মোল্লার চাচা শাহজাহান আলী জানান, অলিউল্লাহ মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় শ্রমিক সরদারের কাজ করেন। তিনি শনিবার রাতে একটি পরিবহনে বাড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে দেবহাটার পারুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।

শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার নিখিল চন্দ্র অলিউল্লাহকে গ্রেফতরের কথা স্বীকার করেন। তবে কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মির্জা সালাহউদ্দিন আহমেদ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।