ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে এখনও নিষিদ্ধ তিনি, তবে এই ১৩ আগস্টেই মাঠে ফিরছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে পুরোপুরিভাবেই কি ফিরতে পারছেন তিনি? প্রশ্ন উঠেছে_ কারণ বিসিবির সঙ্গে বছর তিনেক আগে যে গোপন সমঝোতা করেছিলেন আশরাফুল, তাতে করে এখনই জাতীয় দল কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টে (বিপিএল টি২০ ও বিসিএল) ফেরা হচ্ছে না আশরাফুলের।
এ মুহূর্তে ইংল্যান্ডের কেন্টে কমিনিউটিনি ক্রিকেটের একটি টুর্নামেন্ট খেলছেন তিনি। ফেরার কথা আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই। কিন্তু দেশে ফিরলেও সেপ্টেম্বরের বিসিএল কিংবা নভেম্বরের বিপিএল খেলা হচ্ছে না তার। ব্যাপারটি এতদিন চাপা থাকলেও সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে পুরনো এক খবর। ২০১৩-এর মে মাসের শেষের দিকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয় আশরাফুলের বিরুদ্ধে। পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ট্রাইব্যুনালে আশরাফুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়। কথা ছিল, সেই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবেন আশরাফুল।
আগামী ১৩ আগস্ট সেই তিন বছরের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। বাকি দুই বছর হবে ‘স্থগিত নিষেধাজ্ঞা’, যার আওতায় আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন তিনি। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের দেওয়া তখনকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত (আরবিট্রেশন কোর্ট অব স্পোর্টস) আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি ও আইসিসি। কিন্তু আশরাফুল চাইছিলেন না, বিসিবি থেকে সেটা করা হোক।
এ নিয়ে তখন বিসিবির সঙ্গে এক মৌখিক চুক্তি হয় তার। যেখানে ঠিক হয়, বিসিবি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাবে না এবং আশরাফুলও পুরো পাঁচ বছর জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আশরাফুলের ব্রিটিশ আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেল জানান, ‘২০১৬-এর ১৩ আগস্ট থেকে আশরাফুল বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার জন্য বিবেচিত হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টের জন্য বিবেচিত হবেন না।’