বিপুল পরিমান ২ টাকার নোট চীনে পাচারের সময় জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এগুলো জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দারা বলছেন, এতদিন মুদ্রা পাচার বলতে ডলার, ইউরো বা অন্যান্য বিদেশি মুদ্রার পাচারকে বুঝানো হতো, যা মূলত দেশের টাকায় বিদেশে সেকেন্ড হোম বা ভোগ বিলাসে ব্যয় হয়৷ কিন্তু বাংলাদেশি মুদ্রা ফরেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পার্সেলে বিদেশে পাচারের ঘটনা ঘটায় অভিনব মনে হয়েছে৷ তাও আবার সবগুলো নতুন দুই টাকার নোট৷ বিষয়টিকে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
পার্সেলে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ডা. রেদওয়ান নামের একজনের ঠিকানা লেখা রয়েছে। প্রাপকের জায়গায় লেখা রয়েছে হংকংয়ের বাও রুই নামের একজনের ঠিকানা। রেকটি পার্সেলে ৪টি প্যাকেটে মোট ৪ হাজার দুই টাকার নোট ছিল। সেটির প্রাপকের ঠিকানা লেখা রয়েছে শেইফেঙ জিন, বেইজিং, চীন। সবমিলিয়ে বাংলাদেশি ৫৬ হাজার টাকা। দুটো পার্সেলের ওজন ২৮ কেজি।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, পোস্টাল পার্সেলে এইভাবে বাংলাদেশি মুদ্রা পাঠানো যায় না। এতে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ হয়েছে। ঘোষণা ছাড়া এই টাকা পাঠানোয় শুল্ক আইনে মিথ্যা ঘোষণার অপরাধ হয়েছে।
গোপনে খবর পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা দল অবস্থান নিয়ে শাহজালালের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে এগুলো জব্দ করে৷
কী কারণে এই দুই টাকার নোট পাচারের চেষ্টা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টাকার প্রেরককে খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রহস্য উম্মোচন করতে প্রয়োজনে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ।