উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি আটকাতে দেশটির অর্থনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতিসঙ্ঘ। কিন্তু তাকে থোড়াই কেয়ার করেন দেশটির নেতা কিম জং উন। আর এই জাতিসঙ্ঘকে মুখে উপরে জবাব দিতেই অস্ত্র সাজিয়ে রীতিমত প্রদর্শনী হল উত্তর কোরিয়ায়। শতাধিক কামানে শেলিং-এর মহড়াও চলল ধুমধাম করে।
কোথায় এই মহড়া হয়েছে তা জানা না গেলেও, সংবাদমাধ্যম থেকে এটুকু জানা গেছে যে সেই মহড়ার আকার ভয়ঙ্কর। শেলিং-এর ঠেলায় কেঁপে উঠেছে গোটা দেশের মাটি। যেন ভূমিকম্প চলছে। আর আওয়াজ! আকাশজুড়ে যেন বজ্রপাত। আকাশজুড়ে কালো ধোঁয়ার মেঘ। যে দ্বীপকে লক্ষ্য করে এই মহড়া চালানো হয়েছে, সেই দ্বীপে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে যায়। কালমা আইল্যান্ডের কাছে হচ্ছিল এই মহড়া। এই দ্বীপকে সবসময় সেনার ট্রেনিং-এর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন কিম জং উন নিজে। তিনি বলেন, ‘এখনো যদি কেউ ভেবে থাকে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাহলে তাদের ধুয়ে-মুছে ফেলা হবে। আমাদের আর্টিলারি ইউনিট তাদের বডি ফেলে দেবে।’
অন্যদিকে, বুধবার জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ প্রস্তাব পাস করে তাতে দেশটির কয়লা রফতানি ৮০ কোটি ডলার কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া চীনে বার্ষিক যে পরিমাণ কয়লা রফতানি করে থাকে এই পরিমাণ তার এক-চতুর্থাংশ। অনেক মাসের আলোচনা ও দর কষাকষি শেষে নিরাপত্তা পরিষদ প্রস্তাবটি গ্রহণ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির নেতা কিম জং উন সম্ভবত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবেন। কিম উন চান বিশ্ব উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিক। নিষেধাজ্ঞা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা চীনের আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম উনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হলে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর বেইজিং ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক চাপ আরো বাড়াতে হবে।