Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রবাসীদের ওপর মাসিকহারে ট্যাক্স বসালো সৌদি

Soudi-Arabia-Labourপ্রবাসী ও তাদের উপর নির্ভরশীল সদস্যদের উপর নতুন ট্যাক্স আরোপ করেছে সৌদি আরব। ১ জুলাই থেকে এ ট্যাক্স কার্যকর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গত দুই বছর তেলের দাম রেকর্ড কমে যাওয়ায় এ ব্যবসায় ধরা খায় সৌদি আরব। এক বছরে দেশটির ঘাটতি বাজেট দাঁড়ায় প্রায় ১০ হাজার কোটি ডলার। এ ঘাটতি থেকে নিজেদের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করে দেশটি; যার অংশ হিসেবে এ ট্যাক্স আদায় শুরু হলো।

পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসীদের ওপর নির্ভরশীল প্রত্যেক সদস্যকে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে মাসিকভিত্তিতে ১০০ রিয়েল করে ফি দিতে হবে। এটা বছরে বছরে বাড়ানো হবে। ২০১৮ সালের জুলাইতে এই ফি হবে ২০০ রিয়েল; ২০১৯ সালে হবে ৩০০ রিয়েল আর ২০২০ সালে হবে ৪০০ রিয়েল।

chardike-ad

প্রবাসীদের হটিয়ে স্থানীয়দের জন্য কর্মসংস্থান বাড়াতে চায় সৌদি আরব। সে পরিকল্পনায় দেশটি প্রবাসীরা কাজ করে এমন কোম্পানির উপরও এক ধরনের কর আরোপ করে; বছরে বছরে এ করও বাড়বে বলে জানানো হয়।

যেসব কোম্পানিতে প্রবাসীর সংখ্যা স্থানীয় নাগরিকদের সমান বা তার কম- তাদের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে জনপ্রতি ৩০০ রিয়েল করে মাসিক ফি দিতে হবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এটা হবে ৫০০ রিয়েল। আর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হবে ৭০০ রিয়েল।

স্থানীয়দের চেয়ে কোম্পানিতে প্রবাসী বেশি হলে ওই কোম্পানিকে জনপ্রতি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিতে হবে ৪০০ রিয়েল; ২০১৯ সালে দিতে হবে ৬০০ রিয়েল এবং ২০২০ সালে তা হবে ৮০০ রিয়েল।

সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়, যেসব কোম্পানিতে স্থানীয়দের চেয়ে বিদেশিরা বেশি; সেসব কোম্পানিকে বিদেশি জনপ্রতি ২০০ রিয়াল করে লেভি (এক ধরনের কর) দিতে হয়। এই ফি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

তবে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের ওপর ট্যাক্স বসানোর যে চিন্তা ছিল তা কার্যকর হচ্ছে না। এ ধরনের পরিকল্পনা আপাতত সৌদি আরবের নেই বলে দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সৌদি সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে মোট প্রবাসী রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ১২ লাখ রয়েছে বাংলাদেশি। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নাইজেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়ার আগ্রহ রয়েছে সৌদির।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্যাক্স আরোপের ফলে প্রবাসীদের উপর চাপ বাড়বে। অনেকে তাদের পরিবার পরিজনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হবে।