Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

উ. কোরিয়ার পারমাণবিক হামলা ঠেকাতে সিউল-ওয়াশিংটন পরিকল্পনা চূড়ান্ত

অনলাইন প্রতিবেদক, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩, সিউল:

সিউল ও ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকি প্রতিরোধে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে। আসছে ২রা অক্টোবর সিউলে অনুষ্ঠিতব্য দুই দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠকে এ পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার কথা রয়েছে। কোরিয়ার একটি সরকারি সূত্র রবিবার এ কথা জানিয়েছে।

chardike-ad

সূত্র জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ‘উপযুক্ত প্রতিরোধ কৌশল’ নিরূপণে প্রায় ১০ মাস যাবত গবেষণা চালিয়ে আসছে এবং গত মাসের যৌথ সামরিক মহড়ায় এটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগও করা হয়েছে।

তিন স্তরের প্রতিরোধ পরিকল্পনাটিতে সম্ভাব্য হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে তার সবই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

다운로드যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত ‘পারমাণবিক ছাতা’র (নিউক্লিয়ার আম্ব্রেলা) পাশাপাশি প্রতিরোধ কৌশলের অংশ হিসেবে থাকবে একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিট। থাকবে হামলার জবাবে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি। পাল্টা হামলার জন্য ব্যবহার করা হবে ৩০০-৮০০ কিমি পাল্লার কোরীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল, ৫০০-১৫০০ কিমি পাল্লার ক্রুজ মিসাইল, যুক্তরাষ্ট্রের টোমাহ্যাক ক্রুজ মিসাইল ও বি-২ স্টিলথ বোম্বারস নামের গোপন বিস্ফোরক।

একজন কোরীয় সামরিক কর্মকর্তা বলছিলেন, “পারমাণবিক ছাতার বিষয়টি আমাদের কাছে ঠিক পরিষ্কার ছিল না। এটি কিভাবে কাজ করবে তাও আমরা জানতাম না। তবে এখন সিউল ও ওয়াশিংটন প্রথমবারের মতো একটি পারমাণবিক প্রতিরোধ কৌশল চূড়ান্ত করে আনতে পেরেছে যেটি কিনা একটি সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা।”

প্রতিরোধ কৌশলটি ২০১৪ সালের মধ্যে চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও গেলো ফেব্রুয়ারীতে উত্তর কোরিয়ার তৃতীয় দফা পারমাণবিক পরীক্ষার পর এটি আরও দ্রুত কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।