Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বানর যখন ওয়েটার

waiter-monkey‘দ্য কায়াবুকিয়ান টাভারন’ দেখতে বাকি সব জাপানিজ রেস্টুরেন্টের মতোই। বাইরে থেকে দেখে সেখানে জাপানের ঐতিহ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে বিস্ময়টা রেস্টুরেন্টের ভেতরে।

আপনি অন্য সব রেস্টুরেন্টে গেলে পুরুষ বা নারী ওয়েটার দেখতে পাবেন কিন্তু সেখানে পাবেন বানর। বানর দিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিক ওয়েটারের কাজ করাচ্ছেন। আর বানরগুলো দিব্যি সে কাজ করছে!

chardike-ad

যেমন এই রেস্টুরেন্টের একটি বানর ফুকু-চ্যান। বয়স ১৭ বছর। সে এই রেস্টুরেন্টে প্রথম ওয়েটারের জীবন শুরু করে সাত বছর বয়সে যখন সে প্রথম টেবিলে একদিন ন্যাপকিন বিছিয়ে দেয় এবং ওই রেস্টুরেন্টের মূল ওয়েটার ইয়াত চ্যানকে কাজে সাহায্য করে। তখন রেস্টুরেন্টের মালিক কাউরু ওৎসুকা ফুকু-চ্যানকে কাজে রেখে দেওয়ার চিন্তা করেন।

বেশ বোঝা যায় এমন ব্যতিক্রমী ভাবনায় রেস্টুরেন্টটির নাম-ডাক রয়েছে। ল্যাব ২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাউরু ওৎসুকা বলেন, বানরগুলো এখন তার পরিবারের অংশ। তিনি এদের সঙ্গে খাবার খান, ঘুমান এবং দিনের সবটুকু সময় ব্যয় করেন।

ওয়েটার হিসেবে বানর এই রেস্টুরেন্টে কাজ করছে প্রায় ২৯ বছর। তবে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া একটি ভিডিওর মাধ্যমে ঘটনাটি বেশ ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায় ফুকু-চ্যান পোশাক পরে বিভিন্ন খাবার হাতে নিয়ে আসছে। তবে তার কিছু ভুলও ভিডিওটিতে দেখা গেছে। একবার দেখা গেছে, হাতের পাশাপাশি মুখে করেও খাবার নিয়ে আসছে সে। আরেকবার দেখা গেছে, খাবার নিয়ে আসার সময় সেগুলো পড়ে গেছে।

এই বানরগুলোর মাসিক পারিশ্রমিকও রয়েছে। রেস্টুরেন্টের মালিক এদের তিন বেলা কলা খেতে দেন। অতিথিরা খুশি হয়ে টিপসও দিয়ে যান। এরমধ্যে সয়া বীজ তাদের প্রিয়।