Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আগামীকাল উত্তর কোরিয়ার মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ

women-football-teamগ্রুপিং হওয়ার পর মাথায় হাত পড়েছিল বাফুফে কর্মকর্তাদের। প্রতিপক্ষ উত্তর কোরিয়া, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। মাথায় হাত তো পড়বেই। তবে অনূর্ধ্ব-১৬ নারী দল যেদিন থাইল্যান্ড গেল তার আগের দিন মেয়েদের শুভকামনা জানানোর সময় বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘তোমাদের সৌভাগ্য যে চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবা।’ বাফুফে সভাপতি উত্তর কোরিয়ার কথা বলেছেন, যে দেশটি এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ এবং ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় থাইল্যান্ডের চুনবুরিতে কোরিয়ান মেয়েদের সঙ্গে লড়বেন বাংলাদেশের কৃষ্ণা-সানজিদারা। গ্রুপের অন্য দুই প্রতিপক্ষ জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। অন্য গ্রুপের চার দল দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, লাওস ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড।

বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য এ টুর্নামেন্ট অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। তাদের অভিজ্ঞতাটা আরও সমৃদ্ধ হবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এত বড় টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারা। কঠিন তিন প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়ে সেমিফাইনালে ওঠা এবং তারপর ৮ দলের মধ্যে সেরা তিনে থেকে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা বাংলাদেশের জন্য অলীক স্বপ্ন। তারপরও এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার মধ্যে দিয়ে কৃষ্ণা-স্বপ্নারা দেশের নারী ফুটবলকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।

chardike-ad

গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাছাই পর্বে বাংলাদেশ হয়েছিল অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। তারপর বছরব্যাপী ক্যাম্প, পাঁচ-পাঁচবার বিদেশে পাঠিয়ে বিশ-বাইশটা প্রস্তুতি ম্যাচ এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মেয়েদের যে দলটিকে তৈরি করা হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য তাদের এবার পরীক্ষা দেয়ার পালা।

প্রস্তুতি নিয়ে কোনো অতৃপ্তি নেই নারী ফুটবল দলের কোচ-খেলোয়াড়দের। বাফুফে নজিরবিনীন সাপোর্টই দিয়েছে এ দলটিকে। বাংলাদেশের কোন ক্রীড়াদলের এত প্রস্তুতি নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার উদাহরণ নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে-কী টার্গেট নিয়ে কৃষ্ণাদের এভাবে তৈরি করেছে বাফুফে? বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্ত পর্বে নাম লেখানোর পরই বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছিলেন-‘বাছাই পর্ব আর চূড়ান্ত পর্বের পার্থক্য যোজন যোজন। এত বড় টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গিয়ে মেয়েরা যাতে খুব খারাপ ফলাফল না করে, যাতে ভুরিভুরি গোল না খায় সে জন্য তাদের ভালো করেই তৈরি করেই পাঠানো হবে।’ করেছেনও তাই।

ঢাকা ছাড়ার আগে কৃষ্ণা ও তাদের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছিলেন,‘আমরা ভালো ফুটবল খেলতে চাই, ফাইট দিতে চাই। দেখাতে চাই, বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে পারে।’ থাইল্যান্ড গিয়ে একই কথা বলেছেন কিশোরীদের কোচ ‘আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ ভালো খেলতে চাই। আমাদের ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবল খেলা।’