Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেড় লাখ টাকায় নাফ নদী পার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা

rohingaমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের মুখে প্রতিদিনই বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন রোহিঙ্গারা। শুক্রবার সকালেও রাখাইনে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনা সদস্যরা। কোনো রকমে জীবন বাঁচিয়ে নাফ নদী পেরিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে চলে আসা রোহিঙ্গারা এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে আগুনের কুণ্ডলী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।

মিয়ানমারে সেনা সদস্যদের নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখনো দল বেঁধে টেকনাফ ও উখিয়ায় প্রবেশ করছেন। সেনা সদস্য ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে নাফ নদী পার হচ্ছেন এসব রোহিঙ্গা। নদী পারাপারের জন্য মিয়ানমারের এক থেকে দেড় লাখ টাকা নিচ্ছে দালাল চক্র। তবুও বাঁচার আশায় সব সম্বল বিক্রি করে নিজ দেশ থেকে পালিয়ে আসছেন নির্যাতিত রোহিঙ্গারা।

chardike-ad

নাফ নদীর সীমান্তবর্তী পাতঞ্জা গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা সৈয়দ কাশেম জানান, মিয়ানমারের সেনা বাহিনী, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা একযোগে মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে রাতের আঁধারে হামলা চালায়। নারীদের ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। মুসলিম বিদ্বেষী সেনা সদস্যরা তার ঘর ও দোকান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জীবন নিয়ে নাফ নদীর সীমান্তে এসে গা ঢাকা দেন কাশেম। পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দালালের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা দিয়ে নদী পার হয়ে শাহপরীর দ্বীপে এসেছেন।

আরেক শরণার্থী আবুল কালাম জানান, নদী পারাপারের টাকার জন্য গবাদিপশু ও আসবাবপত্র স্থানীয় প্রভাবশালীদের কাছে বিক্রি করে এসেছি। টাকা না থাকলে নারীদের গলার চেইন ও কানের দুলের বিনিময়ে নদী পারাপার করা হচ্ছে।

প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাফ নদী পার হয়ে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে বাঁচার আশায় টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। তবে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে পরদেশে পাড়ি জমানো এসব রোহিঙ্গারা কবে তাদের নিজ ঘরে ফিরতে পারবেন সেটি এখনো অনিশ্চিত।