Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুই প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বলে দাবি

zijelতার নাম মাদাম জিজেল ইয়াজ্জি। বাড়ি নম্বর ৭১৩। ওয়াশিংটন ছাড়িয়ে মেরিল্যান্ডের চেভি চেজ অভিজাত এলাকায় তার বাস। অদ্ভূত এক দাবি করে বসেছেন তিনি! শুনে অবাক হচ্ছেন সবাই।

মাদাম জিজেল দাবি করেছেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফতেহ আল সিসি তার স্বামী। এ ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণও নাকি রয়েছে তার হাতে। নিজেকে আরও এক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বলে দাবি করেন জিজেল। তিনি হলেন, ভেনিজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ। অর্থাৎ বিশ্বের দুটি দেশের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী তিনি!

chardike-ad

জিজেল দাবি করেছেন, হোয়াইট হাউসে তার অফিস রয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ভালো। হোয়াইট হাউসে ইভাঙ্কার পাশেই নাকি বসেন তিনি। সেই সূত্রে প্রেসিডেন্ট আল সিসির সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপও করিয়ে দিয়েছেন।

জিজেল এসব কথা বলেন লোক বুঝে, টার্গেট করে। অর্থাৎ যাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে চান।

সম্প্রতি জিজেল ইয়াজ্জির প্রতারণার শিকার দুই ব্যক্তির কাহিনী প্রকাশ হয় ওয়াশিংটন পোস্টে। দু’জনকেই ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীর কাছে টি-শার্ট বিক্রি করার বুদ্ধি দিয়েছিলেন জিজেল। আর সেই সূত্রে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন প্রচুর ডলার। প্রতারিত ওই দুইজন হলেন, বব আন্ডারউড ও সাদি। দু’জনই আবার প্রতিবেশি।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, জিজেলের বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকেন না তিনি। সন্তানরা তার কাছ থেকে দূরেই থাকেন। অ্যাপার্টমেন্টে কখনও লবি, কখনও লিফটে রূপের ছটা ছড়িয়ে তিনি আলাপ জমাতেন প্রতিবেশিদের সঙ্গে। এভাবে বব আন্ডারউডের ৭ বছরের মেয়ের সঙ্গে ভাব জমিয়ে ২০১৫ সালের গোড়ার দিকে জিজেল ঢুকে পড়েন তার পরিবারে। ববকে বলেন, তার জন্ম লেবাননে। সারা বিশ্ব ঘুরেছেন। মাসে রোজগার ২১ লাখ ডলার! পাকিস্তান নীতি নিয়ে তিনি ওবামা প্রশাসনকে ‘গোপন পরামর্শ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকতে কষ্ট হয়। তাই ববের মেয়েকে এত পছন্দ তার!

শ্যাভেজের সঙ্গে তার বিয়ের কথাও বলেন ববকে। অসুস্থ শ্যাভেজের সঙ্গে কীভাবে কিউবা যান, সেখানকার ডাক্তাররা কী বলেন, রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎ— সব বলেন ববকে। জিজেলকে বিশ্বাস করে ২০১৫ সালের শেষ দিকে বব রাজি হলেন টি-শাট ব্যবসায়। কিন্তু দিনে দিনে পুঁজির চাহিদা বাড়তে থাকে। অল্প দিনে মধ্যে ৫০ হাজার ডলারেরও বেশি বেরিয়ে যায় তার। এরপর গত জুনে বব দেখা পান সাদির।

সাদি জানান, টি-শার্টের ব্যবসার কথা শুনে তিনি ৫ হাজার ডলার দিয়েছেন জিজেলকে। কিন্তু একটা পর্যায়ে তার সন্দেহ হয়। সাদি গুগলে সন্ধান শুরু করেন জিজেলের। জানতে পারেন, কলম্বিয়ায় বেশ পরিচিত একটা নাম, জিজেল জালার। তিনিই মাদাম। এক সময় জেলে ছিলেন। আদালতের ফাঁক গলে বেরিয়েও গেছেন। তারপর আর কলম্বিয়া ফেরেননি। সেদেশে তিনি এখন ‘ফেরার’।