পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলই এর ব্যবহার বন্ধের একমাত্র পূর্ণ নিশ্চয়তা হতে পারে বলে মনে করে বাংলাদেশ। সুদূরপ্রসারী এ লক্ষ্য অর্জনে ৭ জুলাই গৃহীত পারমাণবিক অস্ত্র-নিরোধ চুক্তিতে সমর্থন ও সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে প্রথম এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
‘পারমাণবিক অস্ত্রের সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য পালিত আন্তর্জাতিক দিবস’-এর স্মরণ ও প্রচারে গৃহীত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এসব কথা বলেছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় রাষ্ট্রদূত ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের একটি সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বক্তৃতার উদ্বৃতি দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে পরমাণু অস্ত্র চূড়ান্ত নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করতে পারে না। অন্যদিকে, এই নিশ্চয়তা প্রদান সম্ভব যদি শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়িত করা যায় এবং শান্তি অর্জনে মানুষের সামর্থ্যকে ব্যবহার করা যায়। কোনো সন্দেহ নেই শান্তিকে সুরক্ষিত রাখার এ সকল কাজে আমাদেরকে বিনিয়োগ করতে হবে কিন্তু আমরা নিশ্চিত বলতে পারি, এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি এবং তা দিয়ে যুদ্ধ করার জন্য যে মূল্য দিতে হয় তা তার চেয়ে কম।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব ৭০/৩০ অনুযায়ী পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের উপর সামগ্রিক আলোচনার জন্য ২০১৮ সালের মধ্যেই জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন আহ্বানের বিষয়টিকে বাংলাদেশ সমর্থন করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।